বিজ্ঞাপন

সংসদে ‘বিএডিসি বিল ২০১৮’ উত্থাপন

June 19, 2018 | 10:29 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) দশম জাতীয় সংসদে ২১তম অধিবেশনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ১০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৬১ সালের ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন‘ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে তোলা হয়েছে। খসড়া আইন অনুযায়ী, কেউ বিএডিসির নোটিশ অমান্য করলে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। কেউ এ অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে। আগে নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি থাকলেও তা অমান্য করলে কোনো সাজার বিধান ছিল না।

বিজ্ঞাপন

বিলে বলা হয়েছে, করপোরেশনের কোনো ভূমি বা স্থাপনা রক্ষার সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করলে; দালান বা দেয়ালের ভার রক্ষার্থে ঠেস দেওয়ার জন্য স্থাপিত কোনো বস্তু অপসারণ, খনন বা ভেঙে ফেললে; কোনো সড়ক বা ভূমিতে স্থাপিত বাতি নিভিয়ে ফেললে; করপোরেশনের আদেশ না মেনে যাতায়াতের পথ বন্ধ করলে বা করপোরেশনের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

আগে এসব ক্ষেত্রে শুধু ৫০ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। নতুন বিলে করপোরেশনের নিয়োগ করা ঠিকাদারকে বাধা ও করপোরেশের কোনো সীমানা বা দিকনির্দেশক চিহ্ন অপসারণ করলেও ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এ ছাড়াও করপোরেশনের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি করপোরেশনের মালিকানাধীন কোনো জমিতে চাষাবাদ করেন বা চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করেন বা ওই জমিতে কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করেন বা গাছ কাটেন বা ভূমি খনন করেন, তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে এসব অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ২০০ টাকা জরিমানা।

বিজ্ঞাপন

নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো পানি ব্যবহারকারী সেচ চার্জ দিতে ব্যর্থ হলে অনধিক ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে বিলটিতে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন