বিজ্ঞাপন

জাহানারাদের মতো শেখ হাসিনার হাতেও জয়ী হবে বাংলাদেশ

June 19, 2018 | 11:28 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে জাহানারা যেভাবে ডাইভ দিয়ে বাংলাদেশের জন্য জয় এনে দিয়েছে, আগামী দিনে সেভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি দলের সাংসদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্ণেল (অব.) ফারুক খান।

মঙ্গলবার (১৯জুন) দশম জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নারীদের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এদিন শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল জাহানারাদের। এমন নাটকীয় মূহুর্তে শেষ বলে জয়লাভ করে বাংলাদেশের নারীরা এবং ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম টুর্নামেন্ট ট্রফি উপহার দেয় নারীরা।

বিজ্ঞাপন

নারী ক্রিকেট দলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ফারুক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে অনেক ভাল করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে সব থেকে বেশি বড় সম্মান এনে দিয়েছে আমাদের নারী ক্রিটেক দল। তারা এবার এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান, হংকং, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছে।

ফাইনালে শেষ বলে জয়ের লক্ষ্যে দুই রান নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেদিন আমাদের প্লেয়ার জাহানারা যেভাবে দ্বিতীয় রান নেওয়ার জন্য দৌঁড়িয়েছে, তারপর শেষ মূহুর্তে লাফ দিয়ে যেভাবে শেষ রানটা নিল, এইভাবেই বাঙালি জাতি আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।’

বিএনপির জামায়াতের প্রতিটি কথায় বাংলাদেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় আছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি-জামায়াত অতীতের নির্বাচনের মতো পুনরায় ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা এমন এমন কথা নিয়ে আসছে যাতে জনমনে অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। কিছুদিন আগে তারা বলেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়। আমি জানি না, তারা কি নিয়ে আলোচনা করতে চায়। যদি নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা করতে হয়, তাহলে তা করতে হবে নির্বাচন কমিশনের সাথে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি, তারা নির্বাচন কমিশনে তিন থেকে চার বার গিয়ে আলোচনা করেছে। এখন নির্বাচন আরও সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা না করে বরং মেয়রের (সিটি করপোরেশন) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনারা বেনিফিটেড হয়েছেন। সেইভাবে নির্বাচনের জন্য আসুন, দেশবাসী যাতে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সারাবাংলা/এনআর/এমআইএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন