বিজ্ঞাপন

‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে’

June 20, 2018 | 10:25 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে এরই মধ্যে ৩০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশের এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

বুধবার (২০ জুন) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৩০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনার কাজও শেষ হয়েছে। এর ফলে দেশের রফতানি আয় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়বে এবং এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বেকারত্ব দূর করতে উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশের অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে আধা-দক্ষ ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান তৈরি এবং দারিদ্র্য নিরসনের সাথে প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মকৌশল, নীতি ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গড়ে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০২০ সাল নাগাদ ৮ শতাংশে পৌঁছাবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাঁচ বছর মেয়াদে প্রবাসে ২০ লাখসহ ১ কোটি ২৯ লাখ অতিরিক্ত কর্মসংস্থান হবে। এ সময়ে ৯৯ লাখ শ্রমিক কর্মশক্তিতে যোগ দেবে।

২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় ২৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সী এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন বেকার যুবক ও যুবমহিলাদের ১০টি সুনির্দিষ্ট মডিউলে তিন মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পর জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। এ পর্যন্ত ৭ পর্বে মোট ৩৭ জেলার ১২৮টি উপজেলা ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতাভুক্ত হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭২১ কোটি ৭১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩২ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৭ জন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায় ২ বছরের অস্থায়ী কর্মে নিযুক্ত হয়েছে। অস্থায়ী কর্ম শেষে এদের মধ্যে মোট ৩৭ হাজার ৪২৩ জন স্বাবলম্বী হয়েছে। এছাড়া ২ বছরের অস্থায়ী কর্মসংস্থান শেষ করা ৮৫ হাজার ৩২৪ জনের প্রত্যেককে ৪৮ হাজার টাকা করে মোট ৪০৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা সঞ্চয় ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন