বিজ্ঞাপন

গাজীপুরে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য

June 24, 2018 | 10:13 am

।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রোববার (২৪ জুন) মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারণা। সে সঙ্গে নির্বাচনী এলাকায় রাত ১২টা থেকে সব ধরনের যান চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। আগামী ২৬ জুন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রোববার থেকে মাঠে নামছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য। নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় ইসির পক্ষ থেকে ৫৭ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক ৫৭টি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও রয়েছে দেশী বিদেশী পর্যবেক্ষক। ইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ সারাবাংলা ডটনেটকে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূণভাবে সম্পন্ন করতে ইসির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে যাতে কেউ কোনও প্রকার অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া আছে।

অন্যদিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ন কবির সারাবাংলাকে বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বুঝায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা নিশ্চিত করা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে ৭০০ বিজিবি, ৬০০ র‌্যাব, ৬ হাজার পুলিশ, ৭ হাজার আনসার এবং এপিবিএন সদসসহ মোট ১৫ হাজার  আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জন্য ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে ৭৬ টহল টিম সার্বক্ষণিক টহল দিবে।

বিজ্ঞাপন

ইসি সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটির ৪২৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টি কেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ। শতাংশের হিসেবে ৭৯ দশমিক ২৫ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কেন্দ্রেও প্রতিটিতে ২৪ জন এবং সাধারণ ভোট কেন্দ্রে (ঝুঁকিমুক্ত) ২২ জন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এর মধ্যে ‘ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১২ জন, ঝুঁকিমুক্ত সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১০ অস্ত্রধারী সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন সব মিলিয়ে চারদিন মাঠে থাকবে।

ইসি সূত্র জানায়, আজ মধ্যরাত ১২টা থেকে সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদিত স্টিকারবিহীন মটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে প্রধান সড়কে (হাইওয়ে) গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক বিভাগের গাড়ি এই নির্দেশনার বাহিরে থাকবে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মেয়র পদে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার এর মধ্যে। অন্য তিন মেয়র পার্থী হলেন, ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)।

উল্লেখ্য আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মোট ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর এই সিটি কপোরেশন গঠিত। দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি করপোরেশনের আয়তন ৩৩০ বর্গকিলোমিটার, মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন