বিজ্ঞাপন

ওয়াশ খাতে প্রস্তাবিত বাজেট বাড়ানোর আহ্বান

June 24, 2018 | 10:20 pm

।। স্টাফ করেসপনডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সবার জন্য নিরাপদ পানি, উন্নত স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) নিশ্চিত না করলে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অগ্রগতি ও সপ্তম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

রোববার (২৪ জুন) সকালে ওয়াটারএইড, ইউনিসেফ, পিপিআরসি, ফানসা-বিডি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল ও ওয়াশ অ্যালায়েন্স আয়োজিত যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। টেকসই উন্নয়নে অভীষ্ট অর্জনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ওয়াশ খাতে বাজেট ও ব্যয়ের ধরন থেকে বোঝা যায়, বরাদ্দ হওয়া অর্থের সঠিক ব্যবহার হয় না। তাছাড়া, ভৌগলিক অবস্থান বিচারে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াশ বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। গ্রাম ও চরাঞ্চলে ওয়াশ বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও মহানগর ও বড় শহরগুলো এই খাতে তুলনামূলকভাবে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাজেটে এই খাতে বরাদ্দের চিত্র ধরে ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, বাজেটের সামগ্রিক চিত্র অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। কিন্তু শহর ও গ্রামের ক্ষেত্রে এই বরাদ্দ যথাক্রমে ৯০.৯ ও ৯.১ শতাংশ। এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সেক্টর উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনের (ওয়াশ) লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় বাজেটে গ্রাম এবং দুর্গম ও অবহেলিত অঞ্চলসহ (চর, হাওর ইত্যাদি) ছোট ও মাঝারি শহরগুলোর জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ। সরকারের কাছে একটি পৃথক ওয়াশ বাজেট কোড তৈরির আহ্বানও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এসও/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন