বিজ্ঞাপন

গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা যাবে না

June 25, 2018 | 5:43 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সমর্থক, এজেন্ট ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বা হয়রানী না করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে গ্রেপ্তার, রিমান্ড ও গ্রেপ্তার দেখানো সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সমর্থক, এজেন্ট ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২৫ জুন) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

গ্র্রেপ্তার ও হয়রানী নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর যুক্ত করে হাসান উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (সিআইডি), মহানগর গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত কমিশনার, গাজীপুরের পুলিশ সুপার ও টঙ্গী-গাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী ও এ কে এম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বিজ্ঞাপন

পরে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, “এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৬ মে হাইকোর্ট যেদিন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছিল, সেদিনই গাজীপুরে লেগুনা ভাঙচুরের একটি ভূয়া ঘটনা সাজিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ ১০৩ জন নেতাকর্মীদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে টঙ্গী থানার পুলিশ। এছাড়াও নানাভাবে কর্মী-সমর্থক, নেতাকর্মীদের হয়রানী ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তাছাড়া, গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা আইনসম্মত নয় এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনার পরিপন্থি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে এটা করা হচ্ছে। এই বাস্তবতায় আদালতে আসা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।”

সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন