বিজ্ঞাপন

গাজীপুরে ভোটগ্রহণ শুরু

June 26, 2018 | 8:01 am

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। নগরবাসীর ভোটের মাধ্যমে যোগ্য  নগরপিতাকে নির্বাচিত করবেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রের ২ হাজার ৭৬১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা জড়ো হয়েছেন। নারী-পুরুষ সবার মধ্যেই এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

সোমবার বিকেল ভোটের সব সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। রাস্তায় নেমেছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবমিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করেছে। আর প্রতি তিন কেন্দ্র মিলে একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে থাকছে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের চার শ’ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, অফিস আদালত বন্ধ থাকবে। যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে জরুরী সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত যানবাহন ও ব্যক্তিরা এমন বিধি নিষেধের বাইরে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)। ভোটাররা বলছেন, প্রার্থী সাত জন হলেও মূল লড়াই হবে জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান সরকারের মধ্যে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ১৯টি সংরক্ষিত নারী ও ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৫৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১লাখ ৩৭হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে ৫লাখ ৬৯হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।

গত ১৫ মে খুলনা সিটির সঙ্গে গাজীপুর সিটির ভোট হওয়ার কথা থাকলেও মাঝপথে এসে আইনী জটিলতায় আটকে যায়। জটিলতা কেটে গেলে নির্বাচন কমিশন পুনরায় ২৬ জুন ভোটের সময় নির্ধারণ করে। গত ১৮ জুন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন