June 26, 2018 | 11:56 am
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
গাজীপুর থেকে: প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে পারেননি ভোটার রাশিদা আক্তার। সকাল ৯টায় টি অ্যান্ড টি আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে (কেন্দ্র নং ১১৮) ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় সারাবাংলাকে রাশিদা বলেন, ‘এখনও ভোট দিতে পারিনি। আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো জানি না। আপনার একটু বলেন যেন তাড়াতাড়ি ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারি।’
কেবল রাশিদা নন, নারীদের এই ভোটকেন্দ্রে সকালই থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অসংখ্য ভোটার। তীব্র গরম আর রোদে হাঁসফাঁস করছেন তারা। ভোটারদের অভিযোগ, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। যে কারণে তাদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুথ সংখ্যা কম এবং ভোটার বেশি হওয়ায় লাইন দীর্ঘ হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা ৮০০ ভোট গ্রহণ করেছেন। ফলে এটাকে ধীরগতি বলা যায়। না। স্বাভাবিক গতি, ভোটার বেশি, এজন্য তারা ভাবছেন গতি ধীর।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় বুধ কম হয়ে গেছে। সে কারণে দ্রুত ভোট নেওয়া যাচ্ছে না।’
এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৯৯৪ জন। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৮০০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। মূলত প্রয়োজনের তুলনায় বুথ কম হওয়াতেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই নারী ভোটারদের।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯টি সংরক্ষিত নারী ও ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে ৫লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।
গত ১৫ মে খুলনা সিটির সঙ্গে গাজীপুর সিটির ভোট হওয়ার কথা থাকলেও মাঝপথে এসে আইনি জটিলতায় আটকে যায়। জটিলতা কেটে গেলে নির্বাচন কমিশন পুনরায় ২৬ জুন ভোটের সময় নির্ধারণ করে। গত ১৮ জুন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
নৌকার বিজয় হবে: জাহাঙ্গীর আলম
‘জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত লড়বো’
সারাবাংলা/এজেড/জিএস/এমও