বিজ্ঞাপন

‘মাদক ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবেন নিজেরাই ঠিক করে নেন’

June 26, 2018 | 2:36 pm

।। সিনিয়র করেপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মাদক ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদের স্থান হবে হয় কারাগার, নয়তো কোথায় যাবেন তা আপনারাই ঠিক করে নেবেন। তবুও কাউকে এ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও যারা এ পেশায় পৃষ্ঠপোষকতা করছেন গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তাদের নামের তালিকা তৈরি করার কাজ চলছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।’

মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মাদকবিরোধী যে অভিযান চলছে তাতে আমরা আশা করছি, মাদক নির্মূল করতে না পারলেও অন্তত কন্ট্রোল করতে পারব। পাশাপাশি সমাজের শিক্ষক, ইমাম, শিল্পী, বাবা-মাসহ সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরও ঢেলে সাজানো হবে। নতুন আইন হলে আরও গতি আসবে। ইয়াবা নিয়ে আইন হচ্ছে, সেখানে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান আসছে।’ একই সঙ্গে ইয়াবার অবৈধ আমদানি ঠেকাতে টেকনাফ অঞ্চলকে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কথাও জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফরিদুল আহমেদ খান বলেন, মাদকের ভয়াবহতা কোথায় গেছে তা বোঝা যায়, যখন বাবা মা এসে বলেন, ‘আমার সন্তানকে জেলে পাঠান।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার অঞ্চলে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। প্রত্যেক জেলায় নিরাময় কেন্দ্র গঠন করার কাজ চলছে।’

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘মাদক মামলার আসামিদের জামিনে মুক্ত করতে তৎপর ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি কারা পেছন থেকে লাভবান হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ঢাকা মহানগরে যারাই মাদকের সাথে যুক্ত তাদেরকেই কোমরে রশি পরিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন বলেছেন, ‘মাদকে যারা আসক্ত হয়েছেন তাদের মেরে ফেলা যাবে না। তাদের বাঁচাতেই হবে। যুবকরা দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এজন্য তাদের চিকিৎসার করতে হবে। তাই নিরাময় কেন্দ্র বেশি বেশি দরকার।’

তিনি বলেন, ব‘র্তমানে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে ২৫০ টির মতো মাদক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। আগামীতে তা ৫০০ তে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। আমাদের অফিসারদের মধ্যে যারা কর্তব্যে অবহেলা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা অতীতে কোন নজির ছিল না।’

বিজ্ঞাপন

ডিজি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাত্র সাড়ে চারশ কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিয়ে পুরো দেশ থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। গাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছুরই অভাব রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। আগে দেশের সব জেলায় অফিস না থাকলেওও বর্তমানে সব জেলায় অফিসের কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশ একটা বস্তিতে অভিযানে গেলে ২/৩ হাজার ফোর্স নিয়ে যায়, সেখানে আমরা একজন অফিসার নিয়ে কি করতে পারি। তাই, সক্ষমতা বাড়িয়ে মাদক নির্মূলে কাজ করার আহবান জানান তিনি।’

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন