বিজ্ঞাপন

‘আমার ইচ্ছা ছিল উন্নয়ন যেন দৃশ্যমান হয়’

July 24, 2018 | 2:21 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন। জনগণ ভোট দিলে আছি। না দিলে নাই। এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নাই। কারণ, আমার ইচ্ছা ছিল উন্নয়ন যেন দৃশ্যমান হয়। পরপর টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ফলেই আজকে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। ভবিষ্যত পরিকল্পনাও দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।’

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দুপুরে তিন দিনের ডিসি (জেলা প্রশাসক) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সম্মেলন চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত।

এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সচিবরাসহ ৬৪ জেলায় কর্মরত জেলা প্রশাসক এবং আট বিভাগীয় কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটু সুষ্ঠ পরিকল্পপনা নিয়ে দেশটাকে সাজাতে হবে। প্রত্যেকটি গ্রাম একটা শহর হিসেবে গড়ে উঠবে। প্রত্যেকটি মানুষ নাগরিক সুবিধা পাবে। ধনী-দরিদ্র্যের ব্যবধান, আয় বৈষম্য; সেগুলো থাকবে না। সেইভাবে আমরা দেশকে গড়তে চাই। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যতই পরিকল্পপনা করি এগুলো কার্যকর করার মূল দায়িত্ব কিন্তু মাঠ পর্যায়ে আপনাদের। কাজেই আমি আশা করি এবং আমার বিশ্বাস আছে, এখন আপনাদের মাঝে অনেক উদ্ভাবনী শক্তি আছে, সেগুলো আপনারা কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

ডিসিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যত আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে পারবেন, দেশকে আমরা তত এগিয়ে যেতে পারবো। আমাদের লক্ষ্য, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ সালে পালন করবো এবং ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করবো। সেই সুবর্ণ জয়ন্তীও আমাদের ব্যাপকভাবে উদযাপন করতে হবে। এ বিষয়ে কেবিনেট সেক্রেটারিকে একটি কমিটি করে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।

বেশকিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা, রেলওয়ে তো আমাদের একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমরা এখন বুলেট ট্রেন না হলে দ্রুত গতির ট্রেন, ঢাকা-চিটাগাং যেন এক ঘন্টায় পৌঁছাতে পারি, ঢাকা থেকে দিনাজপুর ২ ঘন্টায় পৌঁছাতে পারি, ঢাকা থেকে বরিশাল তথা পায়রা বন্দর পর্যন্ত পৌছাতে পারি, ঢাকা-সিলেট যেন এক ঘন্টায় পৌঁছাতে পারি, সেইভাবে কিন্তু আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থাটাকে উন্নত করতে চাই।

বিজ্ঞাপন

লালমনিরহাটে একটা বিশাল জায়গা পড়ে আছে। আমি আমাদের বিমানবাহিনীর প্রধানের সাথে আলোচনা করেছি, আমরা একটা অ্যারোন্যাটিক্যাল সেন্টার ঢাকার মতো সেখানেও করতে চাই। যেখানে আমাদের প্লেন বা হেলিকাপ্টার ওভারহেলিং করতে হয়, সেখানে আমরা এই ধরনের একটা অ্যারোন্যাটিক্যাল সেন্টার গড়ে তুলবো। যেখানে ভবিষ্যতে হয়ত নিজেরাই হেলিকাপ্টার তৈরি করতে পারবো। আমরা প্লেনও তৈরি করতে পারবো। লালমনিরহাটে ওই জায়গা নিয়ে আমার পরিকল্পনা আছে। এটা শুধু বাংলাদেশের না, আমাদের আশপাশের দেশেরও তাদের বিমানবাহিনীর বিমান বা হেলিকাপ্টারগুলো ওভারহেলিং বা মেরামতে কাজে ব্যবহার করতে পারবে। যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত অনেক উন্নয়নমূলক কাজ আমরা করে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুভার্গ্যবশত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ফলে অনেকগুলো কাজ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তখনও এসে দেখি, আবারও এই দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ। অর্থনৈতিক মন্দা এবং খাদ্য ঘাটতি নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু হয়। তারপরও দেশে ছিল প্রচন্ড রকম একটা বিশৃংখল অবস্থা। ওই অবস্থার মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আমাদেরকে তখন যথেষ্ট ব্যস্ত রাখা হয়েছিল (বিডিআর বিদ্রোহসহ অন্যান্য ঘটনা)। সেই অবস্থা থেকেও আমরা সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আজকে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই দুটো মেয়াদ একটানা আমরা পূর্ণ করতে যাচ্ছি বলেই, আজকে উন্নয়নটা গতিশীলতা পেয়েছে এবং এই উন্নয়নের ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।

আরও পড়ুন-

তিন দিনের ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, ডিসিদের প্রধানমন্ত্রী

দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে ডিসি’দের প্রতি আহ্বান

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন