বিজ্ঞাপন

ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা

June 26, 2018 | 1:17 pm

।। গোলাম সামদানী, নৃপেন্দ্রনাথ রায়।।

বিজ্ঞাপন

গাজীপুর থেকে, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট দিয়ে খুশি ভোটাররা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ইভিএমে ভোট গ্রহণে জনগণকে আরও সচেতন করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, রাণী রাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএম ভোট গ্রহণ চলছে। মহিলা কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪১৫। এখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৯টি। অন্যদিকে, পুরুষ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪৮৩। এখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০১টি।

বিজ্ঞাপন

রাণী রাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (ভোটার সংখ্যা-১৯২৭) এ বিষয়ে কথা হয় জাতীয় পরিচয় পত্র অণুবিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামের সাথে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইভিএম মেশিন ইটস সো সিমপল। যেকোনো একটা বাচ্চাকে দেখালেও এটা বুঝতে পারবে। তবে আজ যারা ভোট দিচ্ছেন তাদের অনেকে হয়ত আগে দেখেননি। তাই বুথে গিয়ে খানিকটা দ্বিধান্বিত বলেই একটু সময় লাগছে।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোটের আগে এখানে আমাদের লোক প্রতিদিন ওরিয়েন্টেশন করিয়েছে। কিন্তু লোকজন আসে না। এখানকার লোকজনের উৎসাহ কম। খুলনায় এই উৎসাহ আমরা অনেক বেশি দেখেছি। তাই এ ব্যাপারে সচেতনতা আরও বেশি বাড়ানো দরকার। আর দুই একটা জায়গায় প্রবলেম হচ্ছে, যারা রিকশাচালক বা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের ক্ষেত্রে ভোটার নম্বর দিয়ে অন্যভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।’

যারা ভোট দিচ্ছেন তারা সবাই খুশি। পোলিং এজেন্টরাও বলছেন, ‘এখানে কোনো উল্টা-পাল্টা করার সুযোগ নেই। আবার যারা ভোট দিচ্ছেন তারাও ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি।’

বিজ্ঞাপন

সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এস এম মুরাদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণে কোন অসুবিধা হয়নি। ভোটাররা ভালভাবে ভোট দিচ্ছেন। তবে, একটু সময় লাগছে।’

এ সময় ওই ভোট কক্ষ থেকে ভোট দেওয়া শেষে বেরিয়ে এলে রথখোলা এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম (৬৩) জানান, ভোট দেওয়া খুব সোজা। আগে একটা নাম লিখতে অনেক সময় লাগত। এখন টিপ দিলে সব তথ্য বেরিয়ে আসে।

শাহাপাড়ার বাসিন্দা রাম হরিশীল (৮০) বলেন, ‘ডিজিটাল সিস্টেমে ভোট দিতে পেরে তিনি খুশি।’ ওই ভোট কেন্দ্রের কক্ষ নং ১ মহিলা ভোটার কক্ষে ভোট দিতে আসেন হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা সকিনা খাতুন (৯০)।

আরেক ভোটার হাসিনা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম একটু অসুবিধা হলেও পরে ঠিক মতোই ভোট দিতে পেরেছি।’

বিজ্ঞাপন

সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হরেকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘ইভিএম এ স্বাচ্ছন্দ্যেই ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

ধানের শীষের এজেন্ট রওশন আরা সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইভিএম এ ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।’

নৌকার এজেন্ট শামীমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম প্রথম তো, তাই একটু অসুবিধা হচ্ছে। কয়েকবার ব্যবহার করলে ঠিক হয়ে যাবে।’

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৬ কেন্দ্রে থাকছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। এছাড়াও, থাকছে দুই কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা। যেসব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো হলো- চাপুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ( ভোটার সংখ্যা-২৪৮০), চাপুলিয়া মফিজউদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয় (ভোটার সংখ্যা-২৫৫২), পশ্চিম জয়দেবপুরের মারিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে-১ (ভোটার সংখ্যা-২৫৬২), মারিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে-২ ( ভোটার সংখ্যা-২৮২৭), রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে-১ (ভোটার সংখ্যা-১৯২৭) ও রানী রাসমনি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে-২ ( ভোটার সংখ্যা-২০৭৭)।

ভোট উপলক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সব কলকারখানা। নগরীর পোশাক কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রাস্তার পাশে ছোটখাট দোকান পাট ও রিকশা অটো চলাচল করছে।

সারাবাংলা/এনআর/জিএস/এজেড/জেএএম/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন