বিজ্ঞাপন

কয়লা ঘাটতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

July 23, 2018 | 9:14 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রাথমিক তদন্তে বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা ঘাটতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৩ জুলাই) সরেজমিনে খনি পরিদর্শনের সময় ১ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুদকের তদন্ত দল।

দিনাজপুর দুদক কার্যালয়ে উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল সেখানে গিয়ে কোনো কয়লার হদিস পায়নি। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পর দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে তারা খনিতে তদন্তে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনজীর আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওনাদের হিসেব অনুযায়ী ১ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আসলে কোনো কয়লা নেই। অন্যভাবে কী যেন করে ফেলেছে। কয়লার কী হয়েছে, এর কোনো হিসেব তারা দিতে পারছে না।’

বিজ্ঞাপন

দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কয়লা না থাকায় বড় পুকুড়িয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গতকাল বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং চলছে।’

বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে দুদুকের পাঁচ সদস্যের একটি দল খনিতে প্রবেশ করে বলে জানা গেছে। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে দুদকের এই উপ-পরিচালক সেখানকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুদকের প্রধান কার্যালের নির্দেশে তারা সেখানে গিয়েছিলেন এবং তদন্ত কাজ করছেন।

এর আগে, খনি থেকে কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় সোমবার দুপুরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক শামছুল আলমকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপ সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। আর তদন্ত কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিক। একই সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ওএসডি প্রাপ্ত ব্যবস্থপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগও তদন্ত করে দেখছে দুদক।

বিজ্ঞাপন

তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলা’কে বলেন, আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

দেড় লাখ টন কয়লা গায়েব, কর্তৃপক্ষের দাবি বাতাসে উড়ে গেছে
কয়লা উধাও, দুদকের তদন্ত কমিটি গঠন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন