বিজ্ঞাপন

পায়েলের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

July 27, 2018 | 2:52 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে হানিফ পরিবহনের মালিক, চালক ও শ্রমিকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। এসময় ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িতদের ফাঁসি চেয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

পায়েল ‘হত্যার’ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৭ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পায়েলের বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলা ও বাসা নগরীর হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা এসে এই কর্মসূচিতে জড়ো হন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পায়েলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আহত একজন জলজ্যান্ত মানুষকে জীবিত অবস্থায় খালে ফেলে দেওয়া, এটা যে কতবড়ো নৃশংস অপরাধ, সেটা বুঝিয়ে বলার অবকাশ নেই।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, হানিফ পরিবহনের চালক ও সহকারীকে বিচারের আওতায় এনে দ্রুত তাদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের যেন ফাঁসি হয়, এই প্রত্যাশা আমরা করছি। হানিফ পরিবহনের মালিককেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনিও দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

স্বজনরা বলেন, ‘আমাদের পায়েল আর কোনদিন ফিরে আসবে না। মানুষ নামধারী একদল দানব তাকে হত্যা করেছে। পায়েলের মতো আর কাউকে যেন নির্মমভাবে জীবন দিতে না হয়, আমরা রাষ্ট্রের কাছে সেই দাবি জানাচ্ছি।’

চট্টগ্রামস্থ সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।

বিজ্ঞাপন

স্বজনদের মধ্যে পায়েলের তিন মামা কামরুজ্জামান চৌধুরী টিটু, গোলাম সোহরাওয়ার্দী বিপ্লব এবং বাহার চৌধুরী শিপন বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সারোয়ার সুমন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সারওয়ার হাসান জামিল, মানবাধিকার সংগঠক আমিনুল হক বাবু, সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুপ রিপন, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমানা নাসরিন বক্তব্য রাখেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র পায়েল চট্টগ্রামের হালিশহরের গোলাম মাওলার ছেলে। শনিবার রাতে হানিফ পরিবহনের (নং ৯৬৮৭) বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন। ভোর রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। গত সোমবার (২৩ জুলাই) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচে খালে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার মামা গোলাম সোরয়ার্দী বিপ্লব তিন জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

পরে পুলিশ হানিফ পরিচবহনের বাসের সুপারভাইজার জনিকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মতিঝিল এলাকা এবং বুধবার ঢাকার আরামবাগ থেকে চালক জামাল হোসেন এবং হেলপার মো. ফয়সালকে গ্রেফতার করে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) চালক জামাল হোসেন মুন্সীগঞ্জের একটি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, চালক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন- বাসের অটো দরজার সাথে ধাক্কা লেগে পায়েল রাস্তায় পড়ে যায়। এতে তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে মারা গেছে ভেবে তাকে পাশের ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন