বিজ্ঞাপন

‘প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন’

May 14, 2018 | 2:32 pm

|| ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ||

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগসহ দেশের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজপথে শিক্ষার্থীরা যে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে তা চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

সোমবার (১৪ মে) দুপুর পৌনে ১টার দিকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। সেখানে অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘মহান জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণার ৩৩ দিন পার হলেও তা এখনো প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়নি। বাংলার ছাত্রসমাজ আজ বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করবো, আজকের মধ্যেই সচিবদের প্রজ্ঞাপন জারি করার নির্দেশ দিয়ে ছাত্রসমাজকে শান্ত করুন। আজ যদি প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয়, তাহলে সারা বাংলার ছাত্রসমাজ সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজপথে যে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে, তা চলতে থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘গত ৩ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোজাম্মেল হক খান বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেদিন নির্দেশ দেবেন, তার পরের দিনই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এজন্য কোনো কমিটির দরকার নেই। তাহলে তারা কেনো বারবার কমিটির কথা বলছেন? আমাদের প্রজ্ঞাপন জারির একটি নির্দিষ্ট সময় দিন, তাহলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবো।’

ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘শাহবাগ মোড় বন্ধ থাকার ফলে শাহবাগ টু কারওয়ান বাজার- ফার্মগেটের রাস্তা যানজটে থমকে আছে। এমনকি কোনো রোগীবাহি গাড়িও আসতে পারছে না। মৎস্যভবন কদম ফোয়ারার রাস্তা ও নীলক্ষেতের রাস্তাও যানজটে থমকে আছে।’

এদিকে সোমবার (১৪ মে) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে কোটা সংস্কারের সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে শিগগিরিই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সকাল থেকেই কোটা সংস্কারের দবিতে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সকাল থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের গেট বন্ধ করে দেয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে শাহবাগে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত ৮ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তখন পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। এরপর প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিলেও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যে কারণে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

সারাবাংলা/টিআর/এমও

আরও পড়ুন:
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ
কোটা সংস্কারের সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, প্রজ্ঞাপন শিগগির

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন