বিজ্ঞাপন

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ জরুরি’

June 7, 2018 | 6:38 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আন্তর্জাতিক এমন তৎপরতা ছাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া মোটেও এগুবে না বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্ততায় এমন আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ আসা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দিতে সরকার সচেষ্ট। পাশপাশি তাদের নিজ দেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর বিষয়েও সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রয়োগিক দিকগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, অধিকার ও জীবিকার নিশ্চয়তাসহ তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে আমরা মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি, মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সীমিত সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দে চাপ থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য বাসস্থান, সুরক্ষা, চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমার মনে হয়, আন্তর্জাতিক তৎপরতা ছাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া মোটেও এগুবে না।

এর আগে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয় দুপুর পৌনে ১টার দিকে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

এরও আগে সকাল ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন