বিজ্ঞাপন

‘১৬ কোটি মানুষের অগ্রযাত্রাকে প্রতিরোধের সাধ্য কারো নেই’

June 7, 2018 | 1:59 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: শত আঘাতের পারও এ দেশের মানুষের ঘুরে দাঁড়ানো সক্ষমতায় বিস্ময় জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই সক্ষমতাই তাকে স্বপ্নচারী করে তোলে বলেও জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, যে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে ১৬ কোটি স্বতঃস্ফূর্ত জনগণ, সে দেশের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত বা প্রতিরোধ করার সাধ্য কারো নেই।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতার শুরুতে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে, সকাল ১১টার দিকে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেট অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সংসদে উপস্থিত হন মুহিত। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে শুরু করেন বাজেট বক্তৃতা। এ সময় সংসদ বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদও উপস্থিত ছিলেন।

বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুহিত।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সবচেয়ে বড় সাফল্য: অর্থমন্ত্রী

এরপর অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা আমাকে বিস্মিত ও স্বপ্নচারী করে। আমি অবাক বিস্ময়ে দেখি, কতটা আঘাত সহ্য করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে এ দেশের জনগণ। স্বল্প সম্পদ ও সীমাহীন সীমাবদ্ধতার মাঝেও ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র (বটমলেস বাস্কেট) অপবাদ কাটিয়ে একটি দেশ কিভাবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ধাবিত হয়, তা বিস্ময়কর।

তিনি বলেন, ‘যে দেশের শ্রম বাজারে আছে দুই কোটিরও বেশি সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণী, যে দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো প্রত্যন্ত গ্রাম-পাড়া-মহল্লা এমনকি দুর্গম এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে এখনও অনাবিষ্কৃত রয়েছে অমিত সমুদ্র সম্পদ, প্রতিনিয়ত যেখানে উন্মোচিত হচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার এবং যে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ১৬কোটি স্বতঃস্ফূর্ত জনগণ; সে দেশের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত বা প্রতিরোধ করার সাধ্য কারো নেই।’

বিজ্ঞাপন

আবদুল মুহিত বলেন, এখন প্রয়োজন কেবল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সবকিছুর সুসমন্বয় এবং সঠিক ও সুযোগ্য নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথে বাংলাদেশে’র অভিযাত্রার রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়নে আমি বয়সের কারণেই হয়তো তেমন ভূমিকা রাখতে পারব না। তবে কাজ যে শুরু হয়েছে, তাতে আমি খুবই তৃপ্ত ও নিশ্চিত। অবশ্যই সে উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার চেষ্টা করব। এ প্রত্যাশা জানিয়ে এবং সমৃদ্ধ আগামীর পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় দৃঢ় বিশ্বাস ঘোষণা করে আমি ২০১৮-১৯ অর্বছরের বাজেট এ মহান সংসদে পেশ করছি।

এ বাজেট বাস্তবায়নে দেশের আপামর জনগণ তাদের উদ্যোগ, সৃজনশীলতা, কর্দক্ষতা, অংশীদারিত্ব ও সর্বোতভাবে স্বতস্ফূর্ততা নিয়ে অংশ নেবে বলে বিশ্বাস করেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে ১২টি বাজেট সংসদে উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা সরকার গঠন করলে একে একে টানা ৯টি বাজেট দেন তিনি। এটি তার টানা দশম বাজেট। এর আগে কেবল সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানই ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন। তবে তিনিও টানা ১০টি বাজেট পেশ করতে পারেননি।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন