বিজ্ঞাপন

দেশের যেন বদনাম না হয়, বিমানকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

September 5, 2018 | 3:07 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : বিমানের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবসময় খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি চাই, বিমানের সাথে যারা কর্মরত প্রত্যেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। যেন আমাদের কোন বদনাম না হয়। যেন আমাদের দেশের সুনাম হয়।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বোয়িং ৭৮৭-ড্রিমলাইনার আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের এই বিমানবহরে যখনই নতুন বিমান এসেছে আমি চেষ্টা করেছি নতুন নতুন সুন্দর সুন্দর নাম দিতে। কারণ আমাদের দেশটাকে তুলে ধরতে হবে। এটা শুধু আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়। কারণ এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতায়াত করে। কাজেই বিমানে যারা কাজ করবেন বা বিমানে যারা যাতায়াত করবেন বা বিমানে দেশি-বিদেশি প্যাসেঞ্জার যারা উঠবেন, তাদের জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ দরকার।’

বিজ্ঞাপন

এক্ষেত্রে বিমানবালাদের পোশাক-পরিচ্ছেদও পরিবর্তন এনেছেন বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর পোশাকের যে ডিজাইন ছিল, ওটাই কিন্তু চলছিল। সেখানে আমরা কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসে নতুন রং নতুন নতুন সময়োপযোগী পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

বিমান বহরে আগামীতে আরও উড়োজাহাজ যোগ হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা ড্রিমলাইনার চলে আসবে নভেম্বর মাসে। ইতোমধ্যে আমাদের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন হয়ত আর আসা সম্ভব হবে না। তবে আমি চাচ্ছি, এটা খুব দ্রুত এসে যাক এবং তার কাজ শুরু করুক। তারও একটা সুন্দর নাম দিয়েছি, এখন আর বলতে চাই না। যখন সময় হবে তখন জেনে নেবেন। এছাড়াও কানাডার সাথে চুক্তি করেছি, এতে আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক যোগাযোগটা আরও বৃদ্ধি করতে পারবো বলেও উল্লেখ করেন।’

বিজ্ঞাপন

 

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, কোন কোন সরকার তো আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। যা হোক, একটা প্রত্যাহার করেছে। কারণ আমাদের নিরাপত্তা বিষয়টা এখন উন্নত হয়েছে। আমি চাই, বিমানের সাথে যারা কর্মরত প্রত্যেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। যেন কোন বদনাম না হয়। আমাদের দেশের যেন সুনাম হয়।

এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, যখন কোন বিদেশিরা আসে বা যায় বা আমাদের দেশের যারা প্রবাস থেকে আসে, তারা যেন দ্রুত মাল খালাস করে দ্রুত যেন চলে যেতে পারেন। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততার সঙ্গে এগুলোর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তার বিষয়টা সবসময় অবশ্যই খুব গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারণ এটা মনে রাখতে হবে যে একটা স্বাধীন দেশ আমাদের, আমরা একটা সম্মানের সাথে বাঁচতে চাই। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে যে সম্মান অর্জন করেছিলাম, সে সম্মানটা হারিয়ে গিয়েছিল ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর থেকে। সেটা আবার আমরা ফিরিয়ে নিয়ে এসে জাতির পিতার যে স্বপ্ন বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা, আমরা সেইভাবেই এই দেশকে গড়তে চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি আর আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে যে উন্নয়ন করা যায়, সেটাও আমরাও কিন্তু প্রমাণ করেছি।’

দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে সারাবিশ্ব ব্যাপী বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এই অর্জনটা ধরে রেখেই আমাদের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একটা লক্ষ্য নিয়েই চলতে হয়। একটা দিক-নির্দেশনা থাকতে হয়। সেইসাথে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণে সেই অমোঘ বাক্য ‘কেউ দাবায়ে রাখতা পারবা না’ উচ্চারণ ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইনশাল্লাহ কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। সেইভাবেই আমরা আমাদের পরিকল্পনাও করে দিচ্ছি। যেন এই বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।’

এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন শেখ হাসিনা। পরে ককপিটসহ আকাশবীনার বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, সচিব মহীবুল হক, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী ও বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দিক আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন : আকাশবীণার উদ্বোধন

সারাবাংলা/এনআর/জেএ/এসএমএন/এএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন