ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে কর ৫০ হাজার টাকা
৯ জুন ২০২২ ১৮:০১
ঢাকা: ব্যাংকে ৫ কোটি টাকা টাকার বেশি থাকলে এখন থেকে ৫০ হাজার টাকা কর কাটা হবে। বর্তমানে একই টাকায় কর কাটা হয় ৪০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
বাজেট বক্তৃতায় ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যাংকে জমা হলে আরও বেশি কর কাটার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংক হিসাব ও বিমান টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক আদায় করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ব্যাংক স্থিতির ওপর (বছরের যেকোনো সময়) ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। শুধু ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ব্যাংক স্থিতির ওপর (বছরের যেকোনো সময়) আবগারি শুল্ক ৪০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।’
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটের শিরোনাম ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন।’
আরও পড়ুন-
- সংসদে অর্থমন্ত্রী, হাতে বাজেটের ব্রিফকেস
- কোন সরকার ও অর্থমন্ত্রী কয়টি বাজেট দিয়েছেন
- বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে প্রাধান্য দিতে হবে
- ৭৮৬ কোটি থেকে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট
- মন্ত্রিসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন
- রেকর্ড ঘাটতি নিয়ে আসছে ৬ লাখ ৭৮ কোটি টাকার বিশাল বাজেট
নতুন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ১০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা কমে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। সে হিসাবে নতুন বাজেটের আকার সবশেষ বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এটি ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি বা ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে জিডিপি’র আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে আগামী অর্থছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
- নন-কটন রফতানিতে প্রণোদনা চাই
- বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ— একটি রেওয়াজ
- রাজস্ব আহরণে আরও বেশি জোর দিতে হবে
- বাজেটে শিল্প কারখানার দিকে বেশি নজর দিতে হবে
- নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মূল্যস্ফীতি, ঠান্ডা রাখতে হবে ডলারের বাজার
- সফটওয়্যার ও আইটিএস খাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি রাখতে হবে
সারাবাংলা/এনআর/ইএইচটি/একে