এবার বনজের বিরুদ্ধে বাবুলের মামলার আবেদন
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। নির্মম খুনের শিকার মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাবন্দি তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার আবেদনটি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা বেগমের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত ১৯ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
মামলার আবেদনে আরও যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক বর্তমানে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা ও বর্তমানে সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম এবং পিবিআইয়ের জেলা পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
নির্যাতনে এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করেছেন বাদী বাবুল আক্তার। অভিযোগে ঘটনার সময় উল্লেখ করেছেন ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো অফিস।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুলের দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা তাকে হোয়াটস অ্যাপে কল দিয়ে বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশের কথা বলে পিবিআই অফিসে আসার জন্য বলেন। ১০ মে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছে পিবিআই অফিসে সন্তোষের কক্ষে যান। সেখানে সাতজনকে আসামি করে একটি খসড়া অভিযোগপত্র তাকে দেখান সন্তোষ। পরে তাকে এসপি নাঈমা সুলতানার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জেলার এসপি নাজমুল হাসানসহ ১০-১৫ জন অফিসার ছিলেন। নাজমুল বাবুলকে বলেন, ‘তোমাকে আমার অফিসে যেতে হবে। বনজ স্যারের নির্দেশ।’
আরও পড়ুন:
- মিতু হত্যা মামলা কোন পথে?
- মিতু হত্যার আসামি ভোলা গ্রেফতার
- মিতু হত্যার তদন্তে মহিউদ্দিন সেলিম
- মিতু হত্যা মামলার আসামি সাক্কু গ্রেফতার
- ফের মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন
- মিতু হত্যা: মোশাররফ বাদ, বাবুলের মামলার তদন্ত হবে
- মিতু হত্যা মামলা: হাইকোর্টে ভোলার ৪ সপ্তাহের জামিন
- মিতু হত্যা: বাবুলের নারাজি আবেদনের আদেশ ৩ নভেম্বর
- মিতু হত্যা: অধিকতর তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে পিবিআই
সন্তোষ ও মহিউদ্দিন সেলিম বাবুলকে জোরপূর্বক দুইতলা থেকে নিচে নামিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে মেট্রো অফিস থেকে খুলশীতে পিবিআইয়ের জেলা অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে একটি কক্ষে রাখা হয়। বাবুল মোবাইল বের করে তার ভাই সাহাবুল হকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এসপি নাজমুল মোবাইল কেড়ে নেন। বাবুল জানতে চান তাকে কেন সেখানে নেওয়া হয়েছে। তখন নাজমুল বলেন, ‘এবার তোরে মজা দেখাবো। কোনো বাপ এবার তোরে বাঁচাতে পারবে না।’ এরপর এনায়েত কবীর কিছুক্ষণ গালিগালাজ করেন। মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘বনজ স্যার চাইলে বাঘে মহিষে একঘাটে পানি খায়। আপনি কোনোভাবে বাঁচতে পারবেন না। আপনাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতেই হবে। না দিলে আরও বড় বিপদে পড়বেন। আপনার পরিবারের সদস্যদের ডিস্টার্ব করব।’ তখন বাবুল কান্না করতে থাকেন।
আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ৫৩ ঘণ্টা পিবিআই অফিসে আটকে রেখে সাদা কাগজে ও বিভিন্ন বইয়ের পাতায় বাংলা ও ইংরেজিতে নাজমুল ও নাঈমার বলা বিভিন্ন কথা সন্তোষ কুমার চাকমা বাবুলকে লিখতে বাধ্য করেন। ১০ মে সন্ধ্যায় সন্তোষ আবার বাবুলের কক্ষে ঢুকে বলেন, ‘আপনার মামলা শেষ। আপনার বিরুদ্ধে এখন নতুন মামলা হবে। বনজ স্যার আপনার শ্বশুরের বাসায় পিবিআইয়ের গাড়ি পাঠিয়েছে। আপনার শ্বশুর আসলে তাকে দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দেওয়া হবে। আপনি যদি এখন বলেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন, তাহলে আপনাকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না। না দিলে জবানবন্দি কীভাবে নিতে হয় আমাদের জানা আছে।’ এরপর নাঈমা, নাজমুল ও একেএম মহিউদ্দিন সেলিম গিয়ে তাকে আবার ভয়ভীতি দেখান।
বাবুলের অভিযোগ, ১০ মে থেকে ১২ মে বেলা ১টা পর্যন্ত তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নানা প্রলোভনও দেখানো হয়। বেলা ১২টার দিকে তাকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাড়া কেউ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না। অথচ পিবিআই টিম গঠন করে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বাবুলের সঙ্গে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করে।
বাবুলকে চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে রাখা হতো। কয়েক ঘণ্টা পর পর এক রুম থেকে আরেক রুমে নিয়ে যাওয়া হতো। অফিসারদের কথোপকথনে বাবুল জানতে পারেন, তাকে কীভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে সেটা ঢাকায় বসে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কেউ তার মাথার বাম পাশে, কেউ ডান পাশে ধাক্কা দিত, কেউ এসে পেছন থেকে চেয়ারে লাথি মারত এবং অশ্লীল গালিগালাজ করতো বলে বাবুলের অভিযোগ।
আবেদনে আরও বলা হয়, ১৫ মে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় পিবিআইয়ের এক অফিসারের মাধ্যমে বাবুল জানতে পারেন তাকে যেসব অফিসাররা শোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, তাদের দক্ষিণাঞ্চলের দূরবর্তী জেলায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে দুর্বল হয়ে তিনি চেয়ার থেকে পড়ে গেলে তাকে উঠিয়ে চেয়ারের দুই হাতলে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় পিবিআই অফিসারদের তিনি বলতে শোনেন, ‘বনজ স্যারের নির্দেশ- শরীরে দাগ পড়ে এমন নির্যাতন ছাড়া সব নির্যাতন করা যাবে।’
১৬ মে জবানবন্দিতে বাবুল কী বলবেন সেটা একটি কাগজে লিখে তাকে পড়ে শোনানো হয়। সন্তোষ কুমার চাকমা ও মহিউদ্দিন সেলিম কয়েকটি কাগজে বাংলা ও ইংরেজিতে স্বাক্ষর নেন। বনজ মজুমদারের নির্দেশের কথা বলে ক্যামেরায় রেকর্ড করে তার জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করেন এই দুই পিবিআই অফিসার। দু’জন সাবেক সিনিয়র অফিসারের নাম জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে বলা হয়।
১৭ মে সকাল ১০টায় তাকে একটি প্রাইভেটকারে করে আদালতে নেওয়া হয়। সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে একটি খয়েরি রংয়ের কারে করে নেওয়া হয়, যাতে মহিউদ্দিন সেলিম ও দু’জন পিবিআই সদস্য ছিলেন। যেতে যেতে মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘জবানবন্দি না দিলে আপনার অবস্থা কী হবে আল্লাহ জানেন, হয়তো আর কোনোদিন বাচ্চার মুখ দেখবেন না।’ কিন্তু এরপরও তিনি জবানবন্দি আদালতে দেননি।
বাবুল মামলার আবেদনে অভিযোগ করেছেন, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের প্ররোচনায় ও নির্দেশে বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা ১০ মে সকাল ১০টা থেকে ১২ মে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য ভয়ভীতি দেখায়, লাঞ্ছিত করে এবং নির্যাতন করে। তিনি পুলিশ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থার বাইরে অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন আবেদনে।
বাবুল আক্তার এখন কারাবন্দি থাকায় মামলার আবেদনে স্বাক্ষর করতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী গোলাম মওলা আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন। মামলার আবেদনে স্বাক্ষর এবং ২০০ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার জন্য বাবুলকে আদালতে হাজিরেরও আবেদন করেছেন আইনজীবী।
বাবুল আক্তারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটা মামলার আবেদন করা হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা এখনও বিষয়বস্তু জানি না। কাগজপত্র পেলে আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব।’
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর এই মামলার। ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পরদিন বাবুল আক্তারের মামলায় আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়, যাতে উল্লেখ করা হয়- তদন্তে ঘটনার সঙ্গে বাদী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
একইদিন (১২ মে) দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।
আরও পড়ুন:
- মিতু হত্যা: সেই মুসাসহ ৩ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- মিতু হত্যায় স্বামী বাবুলকে আসামি করে ৫ বছর পর মামলা
- ৩ লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে বাবুল, পরকীয়ার জেরে স্ত্রী হত্যা
- বাবুলকে ‘বাঁচিয়ে’ দাখিল হচ্ছে মিতু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র
- মিতু হত্যার অধিকতর তদন্ত: পিবিআইকে বাদ দেওয়ার আবেদন
- মিতু হত্যা: এবার বাবুলের মামলায় ‘তাকেই’ গ্রেফতারের আবেদন
- ২ মামলা আর চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ‘জালে’ ঝুলছে মিতু হত্যা মামলা
- মিতু হত্যা: প্রথম মামলার নথি আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ
- মিতু হত্যা: নথিপত্রের অনুলিপি আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ
পিবিআই হেফাজতে থাকা বাবুল আক্তারকে ১২ মে মোশাররফের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আদালতে গ্রেফতার ভোলাইয়া, বাবুলের ঘনিষ্ঠ সাইফুল হক, গাজী আল মামুন, মোকলেসুর রহমান ইরাদ এবং আসামি মুসার স্ত্রী পান্না আক্তারের দেওয়া জবানবন্দিতে বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য আরও জোরালো হয়। তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এসব জবানবন্দির এক পর্যায়ে নিজের মামলায় পিবিআইয়ের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন দাখিল করেন বাবুল আক্তার।
২০২১ সালের ৩ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত বাবুল আক্তারের নারাজি আবেদন প্রত্যাখান করেন। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনও প্রত্যাখান করে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ফলে মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলাটির পাশাপাশি করা বাবুল আক্তারের মামলাটিও সক্রিয় হয়ে যায়। দুই মামলার সমান্তরাল তদন্তভার এসে পড়ে পিবিআইয়ের ওপর।
ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর বাবুল আক্তারকে তার নিজের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে বাবুলকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
এরপর ২৫ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে মোশাররফের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একইসঙ্গে ওই মামলার ডকেট প্রথম মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্তের জন্য আবেদন করেন। আদালত অনুমতি দিলে শুধুমাত্র বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটির তদন্তই চলমান থাকে।
মামলাটির তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত ২২ আগস্ট অভিযোগপত্রের সাক্ষ্যস্মারকে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী। অভিযোগপত্রে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, যিনি এই মামলার বাদী। বাকি ছয় আসামি হলো- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস/পিটিএম