ইসরাইলের বোমায় ৭০০ শিশু নিহত, চলছে আরও বড় হামলার প্রস্তুতি
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৭
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে গত সাতদিনে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬২৯ জন দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৭০০ শিশুসহ ২ হাজার ৩২৯ জন ফিলিস্তিনি রয়েছেন, যারা ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। গাজায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে আরও বড় ধরনের আক্রমণ চালাতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। খবর আলজাজিরা ও হারেৎজ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৮ হাজার ৭১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭০০ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত কয়েক দিনে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর গুলিতে ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
রোববার সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৪৭টি পরিবারের প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে কয়েকশ শিশুও রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদর ‘র বরাত দিয়ে ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আজ সকাল পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের হামলায় মোট ২ হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৯ হাজার আহত হয়েছেন।
এদিকে গত এক সপ্তাহে হামাসের প্রায় ১ হাজার ৩০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে হারেৎজ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের ২৭৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১২৬ জনের বেশি সেনাকে অপহরণ করা হয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনী গতকাল শনিবার রাতভর গাজা উপত্যকায় জেট ফাইটার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্থল ও সমুদ্র থেকে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে আরেকটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরাইলের সম্ভব্য স্থল আক্রমণের সতর্কতা জোরদার করায় এবং গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে প্রায় ১১ লাখ ফিলিস্তিনকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে নেওয়ার আদেশের পর বাসিন্দারা প্রাণের ভয়ে গাজার দক্ষিণে চলে যাচ্ছেন।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, তারা গাজার বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে ব্যাপক এবং বিস্তৃত আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি ও ওষুধসহ সব ধরনের জরুরি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এদিন অকস্মিক ইসরাইলে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনিদের উপর গত কয়েক দশক ধরে চালানো পাশবিকতার জবাব দিতে ইসরাইলের উপর এই হামলা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাস।
আরও পড়ুন:
- গাজায় হামলা বন্ধ না হলে সংঘাত ছড়াবে মধ্যপ্রাচ্যে: ইরান
- হামলায় হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধান নিহত, দাবি ইসরাইলের
- ‘গাজার জনগণকে জোরপূর্বক স্থানান্তর যুদ্ধাপরাধ’
- গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল: ফিলিস্তিন
- হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ: ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
- সময় এলে আমরা পদক্ষেপ নেব: হিজবুল্লাহ
- ২৪ ঘণ্টায় গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাকে সরার নির্দেশ ইসরাইলের
- জিম্মিদের মুক্তি না দিলে বিদ্যুৎ-পানি পাবে না গাজা: ইসরাইল
- হামাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ১ হাজার এক্স অ্যাকাউন্ট বাতিল
- ইসরাইলে গুপ্ত হামলা: হামাসের কে এই দেইফ
- মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতার ফল ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ: পুতিন
- ইসরাইলের হামলায় ৩ সাংবাদিক নিহত
- হামাসের হামলায় ১২৩ ইসরাইলি সেনা নিহত
- ১৫০০ হামাস যোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার: ইসরাইল
- আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করল ইসরাইল
- ইসরাইলে হামলার কারণ জানাল হামাস
- হামাসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা
- ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছুঁড়েছে হামাস
সারাবাংলা/এনএস