বিজ্ঞাপন

হামলার পর আমাদেরই দুষছে প্রশাসন : ফাহমিদুল হক

July 15, 2018 | 6:31 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বরং হামলার পর প্রশাসন আমাদের দুষছে।’, এমন মন্তব্য করেছেন সমাবেশে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাবি প্রশাসনকে আইনি নোটিশ

রোববার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদ ও গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পালন করতে গেলে দফায় দফায় তাদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচিতে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীদের অভিবাবক ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ, সেখানে ছাত্রলীগ তাদের মুখোমুখী অবস্থান নেন এবং এক পর্যায়ে তাদের ওপর হামলা করে। সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবিতে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও ছাত্রলীগ

হামলার শিকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমাবেশের প্রায় ১০ গজ সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কোটা আন্দোলন বিরোধী শিক্ষার্থীরা। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সেখানে সমাবেশ করে এবং আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়।’

হামলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফের শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাইকিং করে শহীদ মিনারে অবস্থান না করতে বলে। এ সময় নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাইকিংকারীদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ফাহমিদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যখন দেখলাম তারা (হামলাকারীরা) সহিংসতা সৃষ্টি করতে চাইছে, তখন আমি শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে শহীদ মিনারের উত্তর পাশ দিয়ে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলাম। তখন তারাও শহীদ মিনারের পূর্বপাশ দিয়ে দৌঁড়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে আমাদের যাওয়ার পথ রোধ করে। আমাদের পথ আটকালে তাদের একজনকে বললাম, ওদেরকে সরে যেতে বলেন আমরা চলে যাবো। এই কথার পরই তারা আমাদের উপর হামলা করে।’

হামলার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম আফরোজ বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে চলে যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে পথ রোধ করে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও ছাত্রীদেরও লাঞ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা নানাভাবে সহযোগিতা চেয়েও কোনো পক্ষের কাছে কোনো সহযোগিতা পাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনাদের স্বাধীনতা আছে আপনরা কর্মসূচি পালন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও যখন আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাইবে তখন আপনারা এগিয়ে আসবেন।’

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, রিমান্ডে থাকা শিক্ষার্থী রাশেদের মা, স্ত্রী ও বোনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সমাবেশে অবস্থান নেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, আইন সম্পাদক আল নাহিয়ান জয়, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমন্ডোর সভাপতি আল মামুন, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈকতদুজ্জামান সৈকতসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

সারাবাংলা/কেকে/এসএইচ/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন