বিজ্ঞাপন

এবার মেয়েদের সামনে সেই নেপাল

August 12, 2018 | 8:21 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার কোন টুর্নামেন্ট মানেই বাংলাদেশ হয়ে দাঁড়ায় বিষধর সাপ। যার সামনে দাঁড়ালেই অক্কা পাওয়ার অবস্থা হয়ে যায় বিপক্ষ দলগুলোর। অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয়া দুরন্ত মেয়েদের সামনে এবার দুর্বল নেপাল। সেমি ফাইনালে পা রাখা মারিয়া-আঁখিদের চোখ তাই গোল ব্যবধান বাড়ানো।

সোমবার (১৩ আগস্ট) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে মারিয়া-শামসুন্নাহাররা। এই ম্যাচকে সামনে রেখে শনিবার (৯ আগস্ট) ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে কঠোর অনুশীলন করেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছে নেপাল।

ভুটানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলার খুদে বাঘিনীরা। অনেকটা মুড়িমুরকির মতো গোল দিয়েছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের ছাত্রীরা। পাকিস্তানকে হারিয়েছে ১৪-০ গোলের ব্যবধানে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে অপরাজিত থাকতে চায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সেই লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশের কিশোরী মেয়েরা। রাস্তা ও মাঠে সেড়েছেন অনুশীলন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক ডিরেক্টর পল থমাস স্মলির তত্ত্বাবধানে আগের দিন প্রায় দুই ঘণ্টা অনুশীলন করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলনে ভিন্নতা আনতে টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক ডিরেক্টর পল থমাস স্মলি মেয়েদের ভুটানের রাস্তায় নামিয়েছিলেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকতে রাস্তাতেই নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন আঁখি, মারিয়া, ঋতুপর্ণা, মনিকারা। এ সময় বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন স্মলি।

তার আগে রিকভারি সেশনে থিম্পুর আর্মি বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে প্রায় এক ঘণ্টার হালকা অনুশীলন করে। এরপর ভুটানের পাহাড়ী পথে স্ট্রেচিং, রানিং করে টাইগ্রেসরা। বিনোদনের জন্য পুরো দল একটি স্পোটর্স শপে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানেও ঘুরতে যায়। পরে নেপাল আর পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয় বাংলাদেশ দল।

বিজ্ঞাপন

সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে ছয়টি দল অংশ নিয়েছে। দলগুলো হলো ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নেপাল। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভুটান দল।

৯ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত হবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো। ১৬ আগস্ট হবে দুটি সেমি ফাইনাল। আর ১৮ তারিখ হবে ফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। এরই মধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে সেমি ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে টাইগ্রেসরা। ১৩ আগস্ট একই ভূটানের চাংলামাথাং স্টেডিয়ামে বিকেল চারটায়।

আট মাস আগে ঢাকায় হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, এরপর হংকংয়ে আমন্ত্রণমূলক জকি কাপ আর চলমান সাফের আসর নিয়ে মোট তিন আসরে বাংলাদেশের এই মেয়েরা খেলেছে মোট আটটি ম্যাচ। যেখানে প্রতিপক্ষের জালে মোট ৫১ বার বল জড়িয়ে দিয়েছে খুদে বাঘিনীরা। আর এই দলটির বিপক্ষে প্রতিপক্ষ মাত্র দুটি গোল করতে পেরেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ ঢাকায় হওয়া সাফে কোনো গোলই হজম করেনি। আর হংকংয়ে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জিতেছিল ১০-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। আর গোল হজম করা অন্য ম্যাচটি ছিল ইরানের বিপক্ষে। জকি কাপের সেই ম্যাচে টাইগ্রেসরা জিতেছিল ৮-১ গোলের ব্যবধানে।

প্রায় হারতে ভুলে যাওয়া এই মেয়েরা গত সাথে জিতেছিল নেপাল (৬-০), ভুটান (৩-০), ভারত (৩-০) আর ফাইনালে আবারো ভারতের বিপক্ষে (১-০)। জকি কাপে মালয়েশিয়া, ইরানের পর ফাইনালে হারিয়েছিল স্বাগতিক হংকংকে (৬-০)। এবার এশিয়ার অন্যতম জায়ান্ট বাংলাদেশের কিশোরীদের সামনে নেপাল। যাদের গত সাফে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাল-সবুজরা, এবার সেই নেপালকে হারালেই ফাইনালে উঠবে অপ্রতিরোধ্য খুদে বাঘিনীরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন