September 3, 2018 | 12:44 pm
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
শেষ ৪ ওভারে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের দরকার ৪৭ রান। ঠিক আগের বলেই আউট হয়ে গেছেন ক্রিস গেইল, পরের ওভারের প্রথম বলে আউট বেন কাটিংও। ৩ ওভারে দরকার হলো ৪৩ রান। সেখান থেকে ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে ঝড় শুরু করলেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভার থেকেই দুজন নিলেন ২৭ রান, শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতেই জিতে গেল দল।
১১৮ রানের লক্ষ্যটা ১১ ওভারের মধ্যেই পেরিয়ে গেল সেন্ট কিটস, মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত রইলেন ১১ বলে ২৮ রান করে। তাতে দুটি বাউন্ডারির সাথে ছিল দুটি ওভার বাউন্ডারি। জ্যামাইকা তালাওয়াসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফও নিশ্চিত করল সেন্ট কিটস।
ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে সেন্ট কিটসের লক্ষ্যটা কমে এসেছিল ১১৮ রানে, তবে সেটা করতে হবে ১১ ওভারের মধ্যে। গেইল শুরু করলেন ঝড়, প্রথম ওভারেই এলো ১৮ রান। কিন্তু পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট এভিন লুইস, কোনো রান না করেই। তবে গেইল খেলছিলেন তার মতোই। ২৪ বলে ৪১ রান করে ফেলেছিলেন, সেন্ট কিটসকে জিতিয়ে ফিরবেন বলেই মনে হচ্ছিল । তখনই জোড়া আঘাত জ্যামাইকার। তবে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ভ্যান ডার ডুসেনও রেখেছেন বড় অবদান। ২৪ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি, ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই।
তার আগে শুরুতে ব্যাট করে ২০৬ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল জ্যামাইকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ ব্যাট করে আলো ছড়ানো রভম্যান পাওয়েল ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ৪০ বলে ৮৪ রান করেছেন এই ব্যাটসম্যান, ৪টি ছয়ের সঙ্গে মেরেছেন ১১টি চার। ডেভিড মিলার ২০ বলে করেছেন ৩২।
মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বল হাতে নেননি। তবে জ্যামাইকার ইনিংসের পরেই বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায়। মাহমুদউল্লাহও সুযোগ পেয়ে যান নিজের খেল দেখাতে। আগের হারা ম্যাচে মাহমুদউল্লাহকে নামানো হয়েছিল ৯ নম্বরে, সমালোচনার মুখে পড়েছিল গেইলদের দলটি। এদিন টাইগার অলরাউন্ডারকে নামানো হয় ৫ নম্বরে, দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি