বিজ্ঞাপন

‘দেশের ভোট দু’রকম, আওয়ামী লীগ আর অ্যান্টি আওয়ামী লীগ’

October 3, 2018 | 5:36 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশে আওয়ামী লীগের ভোটের বাইরে কেবল আওয়ামীবিরোধী ভোট আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন জোট গঠন হলেও তারা সেই আওয়ামীবিরোধী ভোট পেতে নির্বাচনে আসবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৩তম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানসহ সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিভিন্ন অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জোট হচ্ছে, আমি খুব খুশি। তাদের জোট করার জন্য যা যা সহযোগিতা লাগে, আমি তাও করতে রাজি। কারণ আমি জানি, বাংলাদেশে ভোট আছে দুইটা— একটা হলো আওয়ামী লীগ, আরেকটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোটটা তো একটা জায়গায় যেতে হবে। একটা জায়গা তো লাগবে তাদের জন্য। এখন একটা বড় জোট হচ্ছে এবং সেখানে কিন্তু বড় বড় মানুষই আছে। জোট হওয়া তো ভালো কথা। আমার কথা হচ্ছে, শত ফুল ফুটতে দেন। এটা নির্বাচনের জন্য ভালো।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আর শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে কি না, বা করবে কি না, বা করতে পারবেন কি না, বা সেই সাহস তাদের আছে কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন। কিন্তু জোট যখন হচ্ছে, আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রক্রিয়াটা চলতে থাক।

জোট হলেও নিজের ভয়ের কিছু নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে আমার ভয়ের কিছু নেই। ভয় থাকে তার যার হারাবার কিছু আছে। আমার তো হারাবার কিছু নাই। আমি আমার বাপ-মা-ভাই সব হারিয়েছি। দুই বোন আছি। ছেলে-মেয়ে মানুষও হয়েছে। তারাও তো আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের জন্য কাজ করছে। প্রত্যেকেই কিন্তু একটা না একটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা কর্নার করে দেন, যত খুশি বক্তব্য দিয়ে যাক। তবে মেইনটেন্যান্স চার্জ নিতে হবে। একেকটা প্রোগ্রাম করে, আর এত নোংরা করে যায়! এখন আরও জায়গা খুঁজছি তাদের দেওয়ার জন্য।

বিজ্ঞাপন

সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখাকে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তারা সভা-সমাবেশ করবে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা সমাবেশের অনুমতি চাইলো, প্রশাসনকে বললাম, অনুমতি দেন। সোহরাওয়ার্দীতেই অনুমতি দেন। কিন্তু তাদের তো প্রস্তুতি নাই। আমি প্রয়োজনে তাদের মানুষ দিয়েও সহায়তা করতে পারি!

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটের আকার বাড়বে কি না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, জোটের কলেবর বৃদ্ধি মানে কী? আমাদের জোট তো যা আছেই আছে। আমরা সেভাবেই চলছি। আর কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসে, আসবে। সেটা দেখব। আমাদের এত বেশি, এত বড় কলেবরের দরকার নেই।

আরও পড়ুন-

আমি ইভিএমের পক্ষে: প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

‘লাগলে বলুক, আন্দোলন ছাড়া কোটা দেবো না’

‘বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ইমেজ আরও সুদৃঢ় হয়েছে’

সবাই উইশ করেছে, আমি যেন আবার ফিরে আসি: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে আসা না আসা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রী

‘সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন বুঝলাম, কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে’

‘কারও সহযোগিতা দরকার হলে আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো’

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরামি ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

সারাবাংলা/এটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন