বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে আসা না আসা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রী

October 3, 2018 | 5:46 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে, আর কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে না— সেটা ওই দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সব দলই আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশে ফিরে ওই অধিবেশনসহ যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যথাসময়েই নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ ভোটও দেবে। এই দেশে তো অনেক রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে কোন দল আসবে, আর কোন দল আসবে না, সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত তো আমরা নিতে পারি না। তবে আমাদের আশা, সব দলই নির্বাচনে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে প্রধান বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে চেয়েছিলাম। তখন তার সাড়া দেয়নি। যারা সাড়া দিয়েছিল, তাদের নিয়ে আমরা সরকার গঠন করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনই শুনলেন যে বিশাল বিশাল জোট হচ্ছে। যত বড় জোট হয় হোক, সেই সুযাগটা আমরা দিচ্ছি। আর গতবার আমি চেষ্টা করেছিলাম যেন সবাইকে অ্যাকোমোডেট করতে পারি বা ইলেকশনে আসে। এবার তো আর সেই সমস্যা নেই।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে চেষ্টা করেছিলাম সব দল নিয়ে একটা সরকার করতে। আমরা এরপর কিন্তু নির্বাচনে জিতেও সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করেছি। এছাড়া বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সরকারি দলের একটা সম্পর্ক হয়েছে। এখন সংসদের প্রতি মানুষের একটা বিশ্বাস, আস্থা এসেছে। আমরা আশা করি, এটাই অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জোট তো আছে। আর যারা আসতে চায় (সরকারে), আসবে। যেসব দেশে সংসদীয় সরকার আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। সেসব দেশে নির্বাচনের সময়ও সরকারই ক্ষমতায় থাকে। সব দেশের আইনেই তাই আছে। তবে আমরা কেবিনেট ছোট করে নিয়ে করতে পারি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা যারা সাড়া দিয়েছিল, তাদের নিয়ে আমরা সরকার করলাম। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলো। আর তারা নির্বাচন ঠেকাতে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। আপনারা কাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যাদের কাছে মানুষের গুরুত্ব নেই? আপনারা তো সাংবাদিক, আপনারা কি খোঁজ নিয়েছেন? যারা মারা গেছে, তারা তো গেছেই। কিন্তু যারা পোড়া শরীর নিয়ে বেঁচে আছে, তাদের খোঁজ নিয়েছেন? নেননি। ৩ হাজার ৯শ মানুষকে তারা পোড়ালো, এসব পুড়ে যাওয়া মানুষের খোঁজ নেবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, গাছ কেটেছে, গাছ লাগিয়েছি, গাছ হয়ে গেছে। কিন্তু যারা আগুনে পুড়লো তাদের বা যারা প্রিয়জন হারিয়ে বেঁচে আছে, তাদের কী হলো? বিদেশিরা বসে আছে তদন্ত করতে। নাইকো মামলা, গ্যাটকো মামলা, এতিমের টাকা চুরি যারা করে, মানুষ পুড়িয়ে যারা হত্যা করে, তাদের জন্য এত সিমপ্যাথি কেন? তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না, কিন্তু বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

আমি ইভিএমের পক্ষে: প্রধানমন্ত্রী

‘লাগলে বলুক, আন্দোলন ছাড়া কোটা দেবো না’

‘বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ইমেজ আরও সুদৃঢ় হয়েছে’

সবাই উইশ করেছে, আমি যেন আবার ফিরে আসি: প্রধানমন্ত্রী

‘সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন বুঝলাম, কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে’

‘দেশের ভোট দু’রকম, আওয়ামী লীগ আর অ্যান্টি আওয়ামী লীগ’

‘কারও সহযোগিতা দরকার হলে আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো’

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরামি ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

সারাবাংলা/এটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন