January 6, 2018 | 7:09 pm
সারাবাংলা ডেস্ক
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে রাঁচীর বিশেষ সিবিআই আদালত।
রায়ের সময় তাকে আদালতে নিলে পরিস্থিতি অশান্ত হতে পারে। এই আশঙ্কায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আদালত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালুর সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি শিবপাল সিংহ।
লালুর সাজা নিয়ে একটা টানটান উত্তেজনা ছিল। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নানা মহলে জোর জল্পনা চলছিল লালুর সাজা তিন বছরের কম, না বেশি হবে।
শুক্রবার লালুর আইনজীবী চিত্তরঞ্জন সিন্হা আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন লালুর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সাজা যেন কম করা হয়।
এ দিকে লালুর এই শাস্তিঘোষণা প্রক্রিয়ার মধ্যেই, তাঁর মেয়ে মিসার বিরুদ্ধে একটি ৮০০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মিসার স্বামী শৈলেশ কুমারের নামও এই চার্জশিটে রয়েছে।
অন্য দিকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারি মামলায় গত ২৩ ডিসেম্বর দোষী সাব্যস্ত হন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা লালু। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘর ট্রেজারি থেকে বিপুল অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগেই দায়ের হয় এই মামলা। লালু তখন অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
এই মামলায় মোট ৩৪ জন অভিযুক্ত হন। তাদের মধ্যে ১১ জন ইতোমধ্যেই মারা গিয়েছেন। সেই সময় ক্ষমতায় না থাকায় আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে গত ২৩ জিসেম্বরেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন বিচারক।
মুক্তি পেয়েছেন আরও পাঁচ অভিযুক্ত। দোষীদের তালিকায় রয়েছেন লালুসহ ১৭ জন।
সারাবাংলা/এমআই