বিজ্ঞাপন

হতাশার চেয়ে বিজয়ের কাছে চ্যালেঞ্জটাই বড়

January 8, 2018 | 7:41 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

এনামুল হক বিজয় সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বললে চুলের প্রসঙ্গ যেন আসবেই। মায়ের জন্য চুল বড় রাখছেন, সেটিও জানিয়ে রাখলেন আজ। তবে চুল যেমন লম্বা হচ্ছে, বিজয়ের জন্য ফর্ম লম্বা করার চ্যালেঞ্জটাও ততই বাড়ছে। জাতীয় দলের এই দফার সুযোগটা নিশ্চয় হেলায় হারাতে চাইবেন না।

একটা সময় জাতীয় দলে প্রায় অপরিহার্যই ছিলেন। অথচ সেই বিজয় গত আড়াই বছর ধরে বাংলাদেশের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি। গত বছর যেন পণ করেছিলেন, প্রতিটা ফরম্যাটেই নিজেকে প্রমাণ করবেন। প্রিমিয়ার লিগে রান পেয়েছেন, বিপিএলেও চোখ কাড়ার মতো ইনিংস খেলেছেন। জাতীয় লিগেও গত বছর পেয়েছেন দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচকেরা আর তাঁকে উপেক্ষা করতে পারলেন না। এতোদিন দলের বাইরে থাকার হতাশার চেয়ে আবার নিজেকে থিতু করার চ্যালেঞ্জটাই এখন বিজয়ের কাছে বড়।

‘হতাশার চেয়ে বেশি ছিলো চ্যালেঞ্জ। আমার জন্য ঘরোয়া পর্যায়ের প্রত্যেকটা আসরই চ্যালেঞ্জিং ছিলো। প্রিমিয়ার লিগেই যেমন, শেষ হলেই কথা উঠতো বিজয় কতো রান করলো। বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও একই কথা। বিপিএলেও সবাই দেখেছে কতো করলাম। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। নিজেকে আরো ভালো কিছুর জন্য অনুপ্রাণিত করা। ভালো খেলতে না পারাই হতাশার। জাতীয় দলে সবাই যখন ভালো খেলে, তখন আসলে নিজের জন্য হতাশ লাগে না। বরং দেশ ভালো খেললে ভালো লাগে। আমি সব সময় বড় স্বপ্ন দেখি। এ কারণে হয়তো হতাশ লাগে না।’

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এই সময়ে নিজেকে কীভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন? বয়সের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ঋদ্ধ হওয়াটাও বিজয় দেখছেন অর্জন হিসেবে, ‘আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার একটা ব্যাপার আছে। লম্বা কিছু ম্যাচ খেলেছি। সম্ভবত ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। ওয়ানডেও খেলেছি ৪০টার মতো। এটা একটা অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ওয়ানডে লিগে বা প্রথম শ্রেণির লিগে দলকে জেতানো বা জেতা দলে থাকা; এটাও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি অনেক বেশি হয়েছে। ইনিংসগুলো বড় হচ্ছে। দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। সব কিছুতেই নিজেকে আগের থেকে ভালো লাগছে।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাঁর ব্যাটিংয়ের খুব একটা ভক্ত ছিলেন না, তেমন একটা গুঞ্জনও আছে। সেই হাথুরুসিংহে বিদায় নেওয়ার পরেই আবার দলে এলেন বিজয়। এই ব্যাপারটা কি কাকতালীয়? ডান হাতি ব্যাটসম্যান বলটা দেখেশুনে ছেড়ে দিলেন, ‘ওইভাবে কখনো ভাবিনি। একজন একজনকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা জোর করে কিছু হয় না। আমার জন্য পারফর্ম করে যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এ জন্য তাই বিশ্বাস ছিলোই। কোচের বিষয়ে তাই চিন্তা ছিলো না। কেউ আসবে, কেউ যাবে; কিন্তু আমাকে খেলে যেতেই হবে।’

বিজয় নিজের ব্যাটিং আর চুল নিয়ে চিন্তা করলেই তো দলের জন্য মঙ্গল!

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন