বিজ্ঞাপন

রাজ্য থেকে রাজ্যে বিদ্যুৎ নিতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড চায় ভারত

January 16, 2018 | 8:42 am

হাসান আজাদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : আসাম থেকে বিহারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চায় ভারত। এ জন্য উভয় দেশে মোট চার শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে হবে। এতে ব্যয় হবে ৭ শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নির্মিত মহলে এই সঞ্চালন লাইন দিয়ে ৫ থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

গেল বছরের ডিসেম্বরের ভারত এই প্রস্তাব দেওয়ার পর গত ৭ জানুয়ারি ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩০ ও ৩১ তারিখ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন হতে পারে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভারতের প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এই সঞ্চালন লাইন বাংলাদেশের উপর দিয়ে নেওয়া হলে আমাদেরও লাভ হতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এই গ্রিড লাইন দিয়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, তার থেকে বাংলাদেশও বিদ্যুৎ পাবে। তবে কতটুকু পাওয়া যাবে সেটা আগামী জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে ঠিক করা হবে।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই সঞ্চালন লাইনটির মাধ্যমে আসামের বড়নগর থেকে বিহারের কাটিহার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সঞ্চালন লাইনটি বাংলােেশর দিনাজপুরের পাবর্তীপুরের এক প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অন্য প্রান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশের ভুখণ্ডের উপর এই লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ২ শ’ কিলোমিটার। এই ২ শ’ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ওই কর্মকর্ত জানান, বাংলাদেশ অংশে প্রাক্কলিত যে ব্যয় ধরা হয়েছে তা ভারত সরকারের থার্ড লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) অধীনে বাংলাদেশকে দেবে। একই সঙ্গে এই সঞ্চালন লাইন থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ৭ শ’ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ভারতের অংশের জন্য ব্যয় হবে ৩০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালের অক্টোবরে ভাংলাশে ভারতের সঙ্গে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলওসি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর অধীনে বাংলাদেশের ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এরই মধ্যে তিনটি প্রকল্প এলওসির অধীনে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এগুলো হল ইনফ্রাক্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফর পাওয়ার ইভিকোয়েশন ফ্যাসিলিটিজ অফ রূপপুর নিউক্লিযঅর পাওয়ার প্লান্ট,মোল্লাহাট ১০০ মেগাওয়াট সোলার পিভিসি পাওয়ার প্লান্ট এবং চিটাগাং এন্ড রাজশাহী এনার্জি ইফিসিয়েন্স সার্ভিস। এর মধ্যে রূপুপুর পাওয়ার প্লান্টের জন্য ৯ শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এলওসি পাওয়া গেছে।

সারাবাংলা/এইচএ/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন