বিজ্ঞাপন

তামিম-সাকিব-মুশফিকে বাংলাদেশের ৩২০

January 19, 2018 | 3:46 pm

বিশেষ প্রতিনিধি, মিরপুর থেকে

বিজ্ঞাপন

ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন এখানে

 

মাঠে খেলছেন সাকিব-তামিমরা, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে, কিন্তু মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে ঠিক যেন সেই উৎসবের আবহটা আসছিল না। মাঠে দর্শক নেই, শততম ওয়ানডে গ্যালারি ফাঁকা… ঠিক যেন মিরপুরের সঙ্গে যায় না। ছুটির দিনে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সেই চেনা রূপে ফিরল মিরপুর। বাণিজ্যমেলার ভিড় ছাপিয়ে গেল স্টেডিয়ামমুখী জনস্রোত।

বিজ্ঞাপন

অন্তত বাংলাদেশের ইনিংসে সেই অপেক্ষাটা বিফলে যায়নি। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম সাড়ে তিন ঘণ্টায় অনেকবারই আনন্দের উপলক্ষ দিয়ে গেছেন।

একটু অবশ্য আক্ষেপ থাকতেই পারে। রেকর্ডটাও তো হয়ে যেতে পারত আজ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩২৯, সেটি একসময় পেরিয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। অন্তত সাকিব-মুশফিক যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ তো বটেই।

সাকিব যখন আউট হলেন, ৩৭.৫ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ২২৭। শেষ ১২ ওভারে অন্তত ১০০ হলেও রান ৩২০ পার হয়ে যায়। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ শুরুতে একটু স্লথ থাকলেও পরে তা পুষিয়ে দেবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু যখনই দুজন মাত্র রানের চাকাটা আরও বেশি সচল করতে শুরু করেছেন, তখনই আউট হয়ে গেলেন।

বিজ্ঞাপন

৪০ ওভার শেষেও রান ছিল ২৪৩। হাতে তখনো সাত উইকেট। মুশফিক তখন উইকেটে থিতু হয়ে গেছেন, খানিক পর ৪২ বলে পেয়ে গেলেন ফিফটি। মাহমুদউল্লাহ দুই অঙ্ক ছোঁয়ার জন্য সময় নিলেও পরে ছয়-চারে বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু ২৩ বলে ২৪ রান করে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে গেলেন প্রদীপের বলে, পরের ওভারে থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ৫২ বলে ৬২ রান করে বোল্ড মুশফিক। নাসির আসলেন, প্রথম বলেই ফিরলেন এলবিডব্লু হয়ে।

বাংলাদেশ যে শেষ পর্যন্ত ৩২০ করতে পেরেছে তার বড় অবদান সাব্বিরের। ১২ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেছেন, লাকমলের শেষ ওভারেই নিয়েছেন ১৯ রান। তাতেই বাংলাদেশ পেল ৩২০ রান। জয়ের জন্য তা যথেষ্ট কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা লাইভ ম্যাচ দেখুন এখানে

বিজ্ঞাপন

অথচ দুই ওপেনার আরও বড় কিছুর ভিত এনে দিয়েছেন। সকালে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাশরাফি। শুরুতে উইকেটে বল একটু ধরছিল। বিজয় শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী, অবশ্য বেশ কয়েকটা জীবনও পেয়েছেন। এর মধ্যেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে কম ইনিংসে এক হাজারও রানও পেয়ে গেছেন। কিন্তু এত সুযোগ পেয়েও ৩৫ রানের বেশি করতে পারেননি। উদ্বোধনী জুটিতে তখন উঠে গেছে ৭১ রান।

তামিম তখনও বেশ সতর্ক, ফিফটির জন্য খেলতে হয়েছিল ৭২ বল। কিন্তু এর পরেই যেন জাদুমন্ত্রের মতো জেগে উঠলেন। গুনারত্নেকে পর পর দুই ছয়ে পৌঁছে গেলেন সত্তরে, ফিফটির পরের ৩০ রান করতে খেলতে হয়েছিল মাত্র ১৬ বল। আরেকটি সেঞ্চুরি যখন দৃষ্টিসীমায়, তখনই স্বপ্নভঙ্গ। আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলটা শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার, কিন্তু ডিকওয়েলা অধিনায়কের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই রিভিউ নিয়ে নিলেন। রিপ্লেতে দেখা গেল, বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমেছে। ৮৪ রানে আউট তামিম, টানা দুই ইনিংসে কাটা পড়লেন আশির ঘরে।

তবে সাকিব আল হাসান শুরু থেকেই ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ। তিনের পজিশনটা যেন আজও নিজের করে নিয়েছেন, বোঝাচ্ছিলেন তা। প্রায় ১০০ স্ট্রাইকরেটে পেলেন ফিফটি, তামিম চলে গেলেও মুশফিককে নিয়ে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতেই আবারও অঘটন। গুনারত্নের নির্বিষ স্লোয়ারটা চাইলে মাঠের যে কোনো জায়গাতেই পাঠাতে পারতেন, কিন্তু সাকিব পাঠালেন বোলারের হাতে। ২২৭ রানে বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। সাকিব-তামিম জুটিতে এসেছিল ৯৯ রান।

তামিম, সাকিব সেঞ্চুরি না পাওয়ায় অবশ্য আফসোস থাকতেই পারে। তবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জয় পেলে নিশ্চয় সেসব আর কেউ মনে রাখবেন না!

ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন এখানে

 

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন