বিজ্ঞাপন

শেষ চারের আশা সিলেটের মনে

December 3, 2017 | 4:05 pm

সারাবাংলা প্রতিবেদন

বিজ্ঞাপন

জমে উঠেছে বিপিএল। নিভৃতে থাকা সিলেট সিক্সার্স জ্বলে উঠেছে। অবশ্য চিটাগং ভাইকিংসদের হারানোর কিছু ছিল না। এ আসর থেকে আগেই ‘বিদায় নেয়া’ চিটাগংকে তাই লক্ষ্য বানাতে ভুল করেনি নাসিরের দল।

৬৭ রানে অল আউট আর দশ উইকেটের জয়ে প্রথম চারের দরজা এখনও খোলা বলতে হবে। টানা হারতে থাকা সিলেট আজ বড় জয় লুফে নিয়েছে চিটাগংকে বধ করে। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে অধিনায়ক নাসিরের ছিল চমৎকার অবদান। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে জানান দিলেন ‘সিলেট আছে’।

টসে জিতে নাসির ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাইকিংসদের ক্রিজে পাঠান। প্রথম বলেই ছক্কা দিয়ে উড়ন্ত সূচনার আভাস দিয়ে নিভে গেল সবকটি আলো। নাসির আর নাবিল সামাদের স্পিন বিষে নীল হয়েছে সৌম্যের দল। বিপিএলের এ আসরের সর্বনিম্ন স্কোরে বোতলবন্দী করেছে ওয়াকারের দল। ৬৭ রানে প্যাকেট।

বিজ্ঞাপন

নাসিরের সঙ্গে জ্বলে উঠলেন দেশি বোলার নাবিল সামাদ। ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। আর শরিফুল্লাহ ২৩ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। চিটাগং অলআউট ১২ ওভারে মাত্র ৬৭ রানেই। এরপর ১১ দশমিক ১ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে সিলেট। মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আন্দ্রে ফ্লেচার মিলে শেষ করে দেন ম্যাচটি।

নাসির এতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠবেন, কেইবা ধারণা করেছেন! ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে চিটাগংয়ের টপ অর্ডার-মিডল অর্ডারে একাই ধ্বস নামালেন তিনি।

সৌম্য সরকার, লুক রনকি, লুইস রিস, স্টিয়ান ফন জিল এবং তানবির হায়দার- এই পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন তিনি খুব দ্রুতই। তার বলে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ রান করেছেন লুইস রিস। ১১ করেন স্টিয়ান ফন জিল। গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সৌম্য সরকার। নাসিরের বিষমাখানো ঘূর্ণির পর চিটাগংয়ের লেজ মুড়ে দেয়ার কাজটি করেন নাবিল সামাদ। মাঝে শরিফুল্লাহ ২ উইকেট নেন।

বিজ্ঞাপন

মোট কথা তিনজনের হাতেই পুরোপুরি বিধ্বংস্ত হলো চিটাগং ভাইকিংস। ১০ উইকেটে এই ম্যাচটি জিতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে রানরেটও বেশ বাড়িয়ে নিয়েছে সিলেট। ১১ ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন পঞ্চম স্থানে। রান রেট এখনও মাইনাস শূন্য দশমিক ৩৪০।

তবে পরের ম্যাচও যদি তারা জিতে যায় এবং বাকি দুই ম্যাচ রংপুর হেরে যায়, তাহলে সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে সিলেটই চলে যাবে শেষ চারে! এ জয়ে কোয়ালিফায়ারের আশা জিইয়ে রেখেছে সিলেট।

সারাবাংলা/জেডএইচ/এমএম/০৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন