বিজ্ঞাপন

ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা জাহাজ যাত্রা শুরু

March 29, 2019 | 11:40 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায় ৭০ বছর পর শুরু হলো ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ক্রুজ শিল্প। ঢাকা থেকে কলকাতার পথে একটি জাহাজ রওনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে অবসান ঘটলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পাগলা ভিআইপি ঘাটে (মেরি এন্ডারসন) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চালু হওয়া এই ক্রুজ শীপ যাত্রার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআইডব্লিউটিসি’র আধুনিক জাহাজ  এমভি মধুমতি উদ্বোধন করেছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এই জাহাজ ঢাকা-কলকাতা নৌরুটে যাত্রী সার্ভিস শুরু করতে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে অভিন্ন নদনদীর ধারা ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘যৌথ নদী কমিশন’ (জেআরসি)। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে সম্পাদন করেন ঐতিহাসিক গঙ্গা-প্রবাহ চুক্তি। এবার উন্মোচিত হচ্ছে নৌপথে যাত্রী পরিবহনের জন্য ‘ক্রুজ শিপ’, যা নৌপথ পরিক্রমণের এক নতুন দিগন্ত।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি (২৯ মার্চ, ২০১৯) আমাদের জাতীয় মেরিটাইম জীবনে সাফল্য ও সৌহার্দ্যের এক উজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে থাকবে। ৭০ বছর পর আবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী জাহাজ যাত্রা শুরু হলো, যা নৌপথে আঞ্চলিক যোগাযোগের মাইলফলক হয়ে থাকবে। আঞ্চলিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের স্রোতে আজ প্রতিবিম্বিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী ভাবনা। এমভি মধুমতি ক্রুজ শিপসহ অন্যান্য নৌযানে করে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা সুন্দরবন ও নদীবিধৌত দক্ষিণ বাংলার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে দেখতে বাংলাদেশের ‘মেরিটাইম’ বৈশিষ্ট্যগুলো উপভোগ করবেন এবং উপভোগ্য ভ্রমণের মাধ্যমে কলকাতায় পৌঁছাবেন। তাদের ভ্রমণের মধ্য দিয়ে পুনরুজ্জীবিত হবে বিগত শতাব্দীগুলোর নৌপথ পরিভ্রমণ। পাশাপাশি দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) মানুষের মধ্যে বাড়বে সম্প্রীতির বন্ধন।

ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা নৌরুটে যাত্রীবাহী সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা থেকে কলকাতায় যে নৌরুট ব্যবহার করা হবে তা হলো— ঢাকা-বরিশাল-মোংলা-সুন্দরবন-আংটিহারা (বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন ও কাস্টম সেটিং হবে) নামখানা-হেমনগর (ভারতে ইমিগ্রেশন ও কাস্টম সেটিং হবে) হলদিয়া-কলকাতা।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোস্টাল ও প্রটোকল রুটে যাত্রী ও ক্রুজ সার্ভিস চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটর প্রসিডিউর (এসওপি) সই করা হয়। ওই স্মারক ও এসওপি অনুযায়ী বাংলাদেশি ক্রুজ শিপ এমভি মধুমতি আজ ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা করলো। অন্যদিকে, ভারতের ক্রুজ শিপ আরভি বেঙ্গল গঙ্গা কলকাতা থেকে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে।

নৌপ‌রিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কলকাতা জাহাজে যাত্রী ভাড়া ঠিক করা হয়েছে কেবিনে ফ্যামিলি স্যুট (দুজন) ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি (যাত্রী প্রতি) ৫ হাজার টাকা, ডিলাক্স শ্রেণি (দু’জন) ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার (যাত্রী প্রতি) ২ হাজার টাকা এবং সুলভ শ্রেণি/ডেক (যাত্রী প্রতি) ১৫০০ টাকা।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন