বিজ্ঞাপন

ভোলায় ২ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু

May 4, 2019 | 1:42 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ভোলা: ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভোলায় দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরচাপায় রানু বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) সকালে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রানু বেগম দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শামসুল হকের স্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ভারী বর্ষণের সঙ্গে ঘুর্ণিঝড় শুরু হয়। এতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া ও কোড়ালিয়া গ্রামের দুই শতাধিক ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঘরচাপা পড়ে রানু বেগম মারা যান।

অপরদিকে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে ঝড়ে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হেলাল ও মামুন জানান, ভোরের দিকে ঘুর্ণিঝড়ে ইউনিয়নের ঢ়াড়ী বাড়ি, পাটওয়ারী বাড়ি, সরদার বাড়িসহ বেড়ীবাঁধের প্রায় দেড় শতাধিক ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ঘর চাপায় রানু বেগম মারা যান।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার কোড়ালিয়া গ্রামের মমতাজ ও শাহিনা বেগম অভিযোগ করেন, সকালে ঘুর্ণিঝড়ের আগে তারা স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন আশ্রয় কেন্দ্র তালা মারা। পরে তারা বাড়িতে চলে আসেন। ঘুর্ণিঝড়ে তাদের ঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদের আর্থিক সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া হতাহত পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএইচ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন