বিজ্ঞাপন

চলন্ত বাসে নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যা: বিচার চেয়ে রাজপথে এলাকাবাসী

May 10, 2019 | 8:25 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কিশোরগঞ্জ: নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে তার নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘কটিয়াদী রক্তদান সমিতি’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

রক্তদান সমিতির সমন্বয়ক বদরুল আলম নাঈমের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, কটিয়াদী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন, জেলা সিপিবির সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রুমী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী তানিয়া সুলতানা হ্যাপীসহ অন্যরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বাসে গণধর্ষণ: ৫ আসামির ৮ দিন করে রিমান্ড

কর্মসূচিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী সোমবার (১৩ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেবেন তারা। এছাড়া স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে একটি নাগরিক কমিটিও গঠন করা হবে।

এর আগে (৭ মে)মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

বিজ্ঞাপন

ময়নাতদন্ত শেষে জেলার সিভিল সার্জন ডা. হাবীবুর রহমান জানান, ওই তরুণীর ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত ও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। পরে রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে তানিয়ার বড় ভাই মরদেহ বুঝে নেন।

উল্লেখ্য, গত (৬ মে) সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন কটিয়াদীর মেয়ে  শাহিনুর আক্তার তানিয়া। তিনি রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চাকরি করতেন।

বাসটি ওইদিন বাজিতপুর উপজেলার বিলপাড় গজারিয়া জামতলীতে পৌঁছার পর বাসের চালক-সহকারী ও অন্যরা শাহীনূরকে আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণ করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। এরপর স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তানিয়াকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরের দিন শাহিনুর আক্তার তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই বাসের চালক নূরুজ্জামান ও হেলপার লালনসহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা । শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএইচ/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন