বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলায় ৯ জনের ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন

July 3, 2019 | 12:16 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ ও হামলা মামলার রায়ে নয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুস্তম আলী এই রায় দেন। এর মাধ্যমে ২৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া ট্রেনে হামলার মামলায় রায় দেওয়া হলো।

আলোচিত এই মামলার সব আসামি বিএনপির নেতাকর্মী। গত ৩০ জুন এ মামলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত। এছাড়া আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় এদিন বিএনপির আরও ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলি ও হামলা, মামলার রায় বুধবার

বিজ্ঞাপন

ফাঁসির আসামিরা হলেন—ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান বাবলু, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আকতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, পৌর যুবদলের সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল, বিএনপি নেতা মাহবুবুল রহমান পলাশ, শামছুল আলম, শহীদুল ইসলাম অটল, রেজাউল করিম শাহীন ও আজিজুর রহমান শাহীন।

এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—আমিনুল ইসলাম (পলাতক), আজাদ হোসেন ওরফে খোকন, ইসমাইল হোসেন জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান শিমু, আনিসুর রহমান সেকম (পলাতক), আক্কেল আলী, মো. রবি (পলাতক), মো. এনাম, আবুল কাশেম হালট (পলাতক), কালা বাবু (পলাতক), মামুন (পলাতক), সেলিম, কল্লল, তুহিন, শাহ আলম লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন রিপন, লাইজু (পলাতক), আব্দুল জব্বার, পলাশ, হাকিম উদ্দিন টেনু, আলমগীর, আবুল কালাম (পলাতক) ও এ কে এম ফিরোজুল ইসলাম পায়েল।

১০ বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা রন রিয়াজী (পলাতক), আজমল হোসেন ডাবলু, মুক্তার হোসেন, হাফিজুর রহমান ওরফে মুকুল, হুমায়ুন কবির দুলাল, তুহিন বিন সিদ্দিকী, ফজলুর রহমান, চাঁদ আলী (পলাতক), এনামুল কবির, জামরুল (পলাতক) ও বরকত।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনে করে রেলপথে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনবহর যাত্রাবিরতি করলে অতর্কিত ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটি পুনঃতদন্ত করে পুলিশ। তদন্ত শেষে নতুনভাবে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন