বিজ্ঞাপন

বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় ফেসবুকের সহায়তা চেয়েছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

October 21, 2019 | 6:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে ফেসবুকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে তার দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভোলায় ঘটে যাওয়া ঘটনা নাসিরনগর এবং রামুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো পুলিশ সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি দেওয়ার জন্য গুলি করে থাকে সেটাও তদন্তে বের হয়ে আসবে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

যা হয়েছিল বোরহানউদ্দিনে

গত ১৮ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে ‘Biplob Chandra Shuvo’ নামে একটি ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে জানিয়ে বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য (২৫) নামে এক যুবক বোরহানউদ্দিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নম্বর: ৪৪০। থানায় থাকতেই বিপ্লবের নম্বরে একটি কল আসে এবং তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ওসিকে জানান। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সেই রাতেই বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যের ফেসবুক হ্যাকার শরীফকে পটুয়াখালী এবং চাঁদা দাবি করায় ইমনকে আটক করে পুলিশ।

এরইমধ্যে বিপ্লবের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কথিত কমেন্টের জেরে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান উত্তেজিত হতে থাকেন। ফেসবুকে ধর্মীয় মন্তব্যের অভিযোগে মন্তব্যকারীর ফাঁসি দাবি করেন স্থানীয় আলেম সমাজ। পরদিন ২০ অক্টোবর সকাল ১১টায় ঈদগাহ মাঠে তারা প্রতিবাদ সভার ঘোষণা দেন। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি বাতিল করে আলেম সমাজ। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

কর্মসূচি বাতিল করা হলেও অন্য একটি গ্রুপ ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে উত্তেজিত করতে থাকে। এক পর্যায়ে একদল লোক বিনা উসকানিতে মাদরাসার অফিস কক্ষে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের আক্রমণ করে। আক্রমণকারীদের একদল আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের গুলিতে পুলিশের দুইজন সদস্য, বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিও আহত হন। এই পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষা, সরকারি জানমাল রক্ষা ও উত্তেজিত লোকজনকে নিবৃত্ত করতে ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে প্রথমে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও পরে শটগান চালায় পুলিশ। এই ঘটনায় মোট চারজন নিহত হন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: বোরহানউদ্দিনে পুলিশের মামলা, আসামি ৫ হাজার

সারাবাংলা/জেআর/এটি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন