বিজ্ঞাপন

‘মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা অনুসরণ করা হবে’

December 25, 2019 | 9:57 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলীরা বলেছেন, মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। এতে কোনো শক্তির চাপের কাছে নতি স্বীকার করা হবে না। এ জন্য সারাদেশে ২১টি স্থানে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে ওজনসীমার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ সহজ হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার ( ২৪ অক্টোবর) বিকেলে সওজের অংশীজন সভায় একথা জানানো হয়। অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাওয়েদ আলমের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনরা বক্তৃতা করেন।

সভায় বলা হয়, প্রতি বছর সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে পরিমাণ অর্থের দরকার তার বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া যায় তার মাত্র ২০ শতাংশ। গত অর্থবছর প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাবে এই সীমিত বরাদ্দেরও সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।

অধিদফতরের রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের যে এইচডিএম নিডস রিপোর্ট, তাতে ২০১৯-২০ এর চাহিদা ছিল ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। সেখানে আমরা বরাদ্দ পেয়েছি মাত্র আড়াই হাজার কোটি টাকা, যা আমাদের চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ। বর্তমানে দেশের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় আছে। দেশের জাতীয় বাজেটের দিকে তাকালে এই বরাদ্দটাকে কিন্তু খুব কমও বলা যাবে না। এখানে যে সমস্যা আছে, তা হলো পরিকল্পনায় সমন্বয়ের অভাব। পরিকল্পা ঠিক থাকলে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে তেমন সমস্য হওয়ার কথা না।’

বিজ্ঞাপন

শুনানিতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরির ক্ষেত্রেও দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন প্রকৌশলীরা।

সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী চন্দন কুমার বসাক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ডিপিপি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দুর্বলতা আছে, এটা সত্য। কিন্তু এখানে আমাদের বেশকিছু সমস্যাও রয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তিন বছর। কিন্তু এই স্বল্প সময়ে সড়কের কাজ শেষ করা কঠিন। অনেক সময় দেখা যায় প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার আগেই এক বছর শেষ। জমি অধিগ্রণেও সময় লাগে। এগুলো পরবর্তী সময়ে ডিপিপিকে দুর্বল করে দেয়।’

সওজের প্রধান প্রকৌশলী জাওয়েদ আলম বলেন, ‘প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অনেক ধরনের সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে হয়। এসব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়েও বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়।’

বিজ্ঞাপন

গণশুনানিতে সড়কের ওজনসীমা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আলোচনা করেন অংশীজনরা। কবে নাগাদ ওজনসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে (সর্বোচ্চ ১৬ টন) নামিয়ে আনা হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) মো. আমানুল্লাহ বলেন, ‘ওভারলোডের কারণে সড়কে ক্ষতি হয়, বিষয়টা আমরা সবাই জানি। এটা নিয়ন্ত্রণেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সারাদেশে ২১টি স্থানে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে ওজনসীমার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা যাবে।

সারাবাংলা/এসএ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন