বিজ্ঞাপন

ইভিএমে ভোট গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

January 9, 2020 | 3:02 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ইলেক্ট্রনিক ভেটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।

রিটে ইলেক্ট্রনিক ভেটিং মেশিনের (ইভিএম) অধ্যাদেশ -২০১৮ এবং এর বিধিমালা-২০১৮ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে। এই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবস্থাপনায় থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য।

বিজ্ঞাপন

অন্য সব নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করছে বিএনপি।

রিটে বলা হয়েছে, ইভিএম সংক্রান্ত আইন সংসদে পাশ হয়নি এবং আরপিও ধারা ২৬-এ অনুযায়ী ইভিএম বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং এ আইন জরুরি ছিল না। এটি সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, অনুচ্ছেদ ৯৩ কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারে। ২০১৮ সালে সংসদ বহাল ছিল এবং ইভিএম জরুরি ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ছয়টিতে ইভিএম চালু ছিল। কিন্তু নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হয়নি।

ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এবং অন্যান্য আইনে জনগনের সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার বিধান আছে, কিন্তু যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটার যাচাই বাছাই করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট ব্যালটের মাধ্যমেই সরাসরি দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আমেরিকা, যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ইভিএম নেই। ওই আইন পাশ করতে জনগনের গণভোটের নেয়া হয়নি। ওই আইন সংবিধানের ৭, ১১, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

গণতন্ত্র, সংবিধানের মূল ভিত্তি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ইভিএম অসাংবিধানিক উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, ‘এসব কারণেই এই আইনে নির্বাচন না করার নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি।’

সারাবাংলা/এজেডকে/এসএমএন 

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন