বিজ্ঞাপন

‘ভোটের তারিখ না পেছালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় নেবে না হিন্দুরা’

January 13, 2020 | 9:08 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের তারিখ পরিবর্তন করা না হলে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার দায় হিন্দু সম্প্রদায় নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

রানা দাস বলেন, আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা। পূজার্থীদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। তারা ভোট দেবে নাকি পূজা করবে? পূজার দিন ভোট হলে তো পূজা করা যাবে না। কেননা বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আর পূজা তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয়। তাই পূজার দিন যদি ভোট হয়, দেশের বাইরে কী বার্তা যাবে? সংখ্যালঘু আড়াই কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের এটা তো ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার।

দাবির কথা কমিশনকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত বলেন, নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলেছে। তারা তাদের অবস্থানেই রয়েছে। তাই হতাশ মনে ফিরে যাচ্ছি। কমিশন বলেছে, সরকার যদি পরিবর্তন করে তারা ভোটের পরিবর্তন নিয়ে ভাববে। এছাড়া কোর্টে রিট আবেদনের শুনানি থেকে মঙ্গলবার নির্দেশনা আসবে। তারপরে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

রানা দাস গুপ্ত আরও বলেন, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ছাড়া যেকোনো দিন ভোট হলে আমাদের আপত্তি নেই। যদি তারিখ পরিবর্তন করা না হয়, আর যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তবে আড়াই কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমরা দায় নেবো না।

এ সময় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিম চন্দ্র ভৌমিকসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ভোটের তারিখ পরিবর্তন আদালত যে নির্দেশনা দেবে, কমিশন তাই করবে।

বিজ্ঞাপন

ইসি সচিব বলেন, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভোটের তারিখ ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ২৯ জানুয়ারি ছিল ঐচ্ছিক ছুটি, ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার, আবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু। তাই সব দিক বিবেচনায় নিয়েই ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন