January 27, 2020 | 9:02 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
সংসদ ভবন থেকে: এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) জন্য তালিকায় যেসব স্কুল-কলেজের নামে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম আছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করা হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে বিতর্কিত কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তির নাম রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে এবং মানবতাবিরোধীদের বিচারকাজ যখন চলমান, তখনো দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে এখনো এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে দীপু মনি জানান, মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণিতে গ্রুপ বা বিভাগ না রাখার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী একই বিষয়ে পড়ালেখা করে ভিতকে মজবুত করবে। এরপর একাদশ শ্রেণি থেকে গ্রুপ বা বিভাগভিত্তিক লেখাপড়া করবে তারা।
একই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক বিষয়স্তু অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং নবম-দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে শিক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নিয়োগে দেরি হওয়ার কারণে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা যায়, অবিলম্বে শিক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর