বিজ্ঞাপন

হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১৮ মার্চ

March 13, 2020 | 6:27 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশজুড়ে হামের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের হাম ও রুবেলার টিকা দিতে ১৮ মার্চ থেকে তিন সপ্তাহের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। ১৮ মার্চ – ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের নয় মাস থেকে ১০ বছর বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ করে ‘এমআর টিকা’ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) জাতীয় হাম-রুবেলা (এমআর) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সংম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হামরোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এরইমধ্যে দেশে ২০০৬ সালে ক্যাচআপ এবং ২০১০ সালে ফলোআপ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। ফলে হামের প্রভাব বহুলাংশে কমে গিয়েছিল। ২০১২ সাল থেকে রুবেলা নিয়ন্ত্রণে হামের টিকার সঙ্গে রুবেলা টিকা সংযোজন করে এমআর টিকা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে হাম-রুবেলা দূরীকরণে এমআর ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেন বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবরের মতো এবারও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ক্যাম্পেইনকে সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে (পূর্বে এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও) এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে।ক্যাম্পেইনটি দুইভাগে পরিচালিত হবে। ১৮-২৪ মার্চ ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশের ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৮৯টি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি বা সমপর্যায় পর্যন্ত অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে। ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৪টি নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে কমিউনিটির উদ্দিষ্ট শিশু এবং যারা বিদ্যালয়ে যায় না বা প্রথম সপ্তাহে বিদ্যালয়ে টিকা নেয়নি, তাদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ক্যাম্পেইন শুরুর দিন হতে শেষদিন পর্যন্ত শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত টিকাদান ক্যাম্পেন চলবে। কেন্দ্রগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এছাড়া ঝুঁকিতে থাকা শিশু অর্থাৎ দোকান বা বাজার, কারখানাায়, রাইস মিল ইত্যাদিতে কর্মরত মায়েদের শিশু, বেদে বহরের শিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, যারা বাস বা রেল স্টেশনে ঘুমায়, হাসপাতালে ভর্তি বা মায়েদের সঙ্গে অবস্থানরত শিশু, জেলখানায় মায়েদের সঙ্গে অবস্থানরত শিশু, পতিতালয়ের শিশু, বস্তির শিশু ও দুর্গম এলাকার শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য সেসব এলাকায় আলাদা টিকাকেন্দ্র পরিচালিত হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগেন সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বক্স চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একেএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন