বিজ্ঞাপন

ঠাকুরগাঁওয়ে ‘শ্বাসকষ্ট’ নিয়ে হাসপাতালে এক পরিবারের ৫ জন

March 29, 2020 | 1:06 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঠাকুরগাঁও: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে একই পরিবারের ৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অসুস্থরা হলেন- সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান নদীপাড়ার এলাকার রুহুল আমিনসহ তার পরিবারের ৪ জন। রুহুল আমিন ঢাকার একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী।

বিজ্ঞাপন

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ জানান, অসুস্থ ব্যক্তিদের লক্ষণগুলো নিয়ে আইইডিসিআরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। প্রাথমিক লক্ষণ শুনে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ অসুস্থদের আইসিইউয়ের সাপোর্ট দরকার হতে পারে বলে পরামর্শ দেন। ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিইউ না থাকায় শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় প্রশাসনের নির্দেশে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে তাদের রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছ।

তত্ত্বাবধায়ক আরও জানান, আইইডিসিআরের একটি টিম এ মুহূর্তে রংপুরের পীরগঞ্জে রয়েছে, তারাই ৫ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করবেন। এ ব্যাপারে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, রুহুল আমিন ৫ দিন আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা থেকে সপরিবারে তার গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। আসার পর থেকেই তার জ্বর ও সর্দি। শনিবার থেকে শ্বাসকষ্ট সমস্যা শুরু হলে তিনি নিজেই হটলাইন নাম্বারে ফোন করেন এবং নিজের ফেসবুক আইডিতে অবস্থার কথা জানিয়ে পোস্ট করেন।

বিজ্ঞাপন

ফেসবুক পোস্টে রুহুল আমিন লেখেন, ‘আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের সবারই জ্বর, সর্দি, প্রচণ্ড বুক ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমিসহ আমার পরিবারের সবাই মহাবিপদে আছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন- রুহুল আমিনের স্ত্রী মোমেনা খাতুন, ছেলে রোহান, তার ভাই ইসমাইল ও ভাইয়ের স্ত্রী আঁখি।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হবে। ফলাফল এলে জানা যাবে এটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিনা।’

বিজ্ঞাপন

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম ব্যাপারটি নিয়ে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা প্রশ্নে পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’

সারাবাংলা/এমও

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন