বিজ্ঞাপন

‘রফতানি খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন এপ্রিল মাসের শেষ তারিখে’

April 5, 2020 | 1:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রফতানিমুখী শিল্প খাতের কারখানাগুলোতে শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য প্রথেমে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা থেকে কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীরা এপ্রিল মাসের বেতন এ মাসের শেষ তারিখেই পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির।

বিজ্ঞাপন

গভর্নর বলেন, আমাদের রফতানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের স্যালারি দেওয়া হবে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পূর্ণ গাইডলাইন ইস্যু করেছে। আশা করছি, শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রথম স্যালারি এপ্রিল মাসের শেষ তারিখেই পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন- প্রণোদনা প্যাকেজের অপব্যবহার নয়— হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর

রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর গভর্নর এসব কথা বলেন। দেশের অর্থনীতির ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব ও তা মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের অভিঘাত মোকাবিলায় সব ধরনের শিল্প খাতের জন্য ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন, যা দেশের জিডিপি’র ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

আরও পড়ুন- ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে আমরা বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ব্যবস্থার কিছু বিধান শিথিল করেছি। এতে করে গ্রাহকরা প্রয়োজনে যেকোনো এডি ব্রাঞ্চে গিয়ে নিজেরাই কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। যেমন— রফতানি মূল্য প্রত্যাবর্তনের সময়সীমা ১২০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গভর্নর জানান, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও মূল্য পরিশোধের সময়সীমা ১২০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৮০ দিন করা হয়েছে। অন্যদিকে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট অ্যান্ড বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় উৎপাদন উপকরণ আমদানির দায় পরিশোধের জন্য সময়সীমা ১৮০ থেকে বাড়িয়ে ৩৮৭ দিন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- সব শ্রেণির মানুষের জন্য ৪ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামস আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাংকের রি-পেমেন্ট গ্যারান্টি অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আমদানি মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করার সব ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমদানির জন্য শুধু ১০ হাজার ডলার সীমা ছিল, সেটিও এখন আমরা উন্মুক্ত করেছি। পাশাপাশি সাপ্লাইয়ার্স বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়েছে।

ফজলে কবির বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের যেসব নীতি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, অর্থমন্ত্রী তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এসব প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতি ফের ঘুরে দাঁড়াবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- করোনায় যা ক্ষতি, যা করণীয় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ফাইল ছবি

আরও পড়ুন

একটা মৃত্যুও কাম্য নয়: প্রধানমন্ত্রী

শবে বরাত ও নববর্ষ ঘরে বসে পালনে ফের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন