বিজ্ঞাপন

করোনার ধাক্কা কাটাতে কাজ হবে টাইমলাইন ধরে: পরিসংখ্যান সচিব

April 23, 2020 | 11:27 am

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে পরিসংখ্যান। করোনাভাইরাসের কারণে সেই পরিসংখ্যানের খতিয়ান রাখা পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কাজে এসেছে স্থবিরতা। তবে অব্যাহত রয়েছে জরুরি কাজগুলো। এ পরিস্থিতিতে করোনার ধাক্কা কাটাতে টাইমলাইন ধরে কাজ করবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বিবিএস। সাধারণ ছুটিতে মাঠ পর্যায়ের যেসব কাজ স্থগিত রয়েছে, সেগুলোর জন্য নেওয়া হবে আলাদা কার্যক্রম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাধারণ ছুটির মধ্যে এবং ছুটি পরবর্তী সময়ে পরিসংখ্যানে বিশেষায়িত এই বিভাগের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেছেন পরিসংখ্যান তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জোসনা জামান

সারাবাংলা: সাধারণ ছুটিতে কার্যক্রম কেমন চলছে? কী কাজ হচ্ছে?

সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: করোনা পরিস্থিতিতে এখন সবকিছুই বন্ধ রয়েছে। মানুষের জীবন বাঁচানোর কারণে সরকার দ্রুত ও সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অফিসে না গিয়েও জরুরি কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান স্যারের সঙ্গে সমন্বয় করে সীমিত আকারে কাজ চলছে। তাছাড়া বিবিএসের মহাপরিচালকের দফতর এবং আমার দফতরের মধ্যেও সমন্বয় রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: বর্তমানে আপনাদের কতটি প্রকল্পের কাজ চলছে? এসব প্রকল্পে করোনার প্রভাব পড়বে কতটুকু?

সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বর্তমানে ১৪টি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনশুমারি ও কৃষি শুমারি প্রকল্প। এছাড়া জরিপ, এমএসভিএসবি প্রকল্প ইত্যাদিও গুরুত্ব পেয়ে থাকে। অনেক প্রকল্পের কার্যক্রমই মাঠ পর্যায়ের কাজের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। করোনারভাইরাসের কারণে এমন বেশকিছু প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজই স্থগিত রাখা হয়েছে। তাতে করে প্রকল্পগুলো আটকে রয়েছে। তবে এ অবস্থা দীর্ঘায়িত না হলে খুব বেশি সমস্যা হবে না। সাধারণ ছুটি বা লকডাউন পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে বিকল্প ভাবতে হবে।

সারাবাংলা: প্রকল্পগুলোদে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় সাধারণ ছুটি পরবর্তী সময়ে কী কৌশল নেবেন?

বিজ্ঞাপন

সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: এই সাধারণ ছুটির সময়ের যে ঘাটতি, সেটি ‍পূরণে আমরা দুইটি কৌশল অবলম্বন করব। প্রথমত, যেসব প্রকল্প বেশি পিছিয়ে পড়বে, সেগুলোর কাজ পুষিয়ে নিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে যেসব প্রকল্পের কাজ স্থগিত রয়েছে, সেগুলোর জন্য আলাদা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় কৌশলটি হলো— সাধারণ ছুটির পর বা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আমরা টাইমলাইন ধরে কাজ করব। প্রকল্পের গুরুত্ব অনুযায়ী এই টাইমলাইন নির্ধারণ করা হবে। ফলে কোনো প্রকল্প যেন পিছিয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে নজর রাখা যাবে। আর এমনিতেই বেশি বেশি কাজ তো করাই হবে।

সারাবাংলা: জনশশুমারির খবর কী?

সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: বিবিএসের সবচেয়ে বড় কাজ হলো জনশুমারি। এটি ১০ বছর পর পর করা হয়। ২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি সারাদেশের মানুষ  ও বিদেশে অবস্থান করা প্রবাসীদের গণনার সময় ধরে এই জনশুমারির প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করা হয়েছে। শুমারির জন্য গত ২ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী লিস্টিং কার্যক্রম পরিচালনার কথা ছিল। তবে সেই কার্যক্রম আপাতত বন্ধ  রয়েছে। বাস্তব অবস্থার কারণে মাঠ পর্যায়ে শুমারির সব কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে। তবে জনশুমারি যেহেতু সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প, তাই পরিস্থিতির উন্নতি হলে অগ্রাধিকার দিয়ে বেশি বেশি কাজ করে এই প্রকল্পের বর্তমান ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হবে।

সারাবাংলা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বিজ্ঞাপন

সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: সারাবাংলাকেও ধন্যবাদ।

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন