বিজ্ঞাপন

মাশুলে ছাড় দিচ্ছে না শিপিং এজেন্ট, এবার নৌ সচিবের কাছে বিজিএমইএ

May 16, 2020 | 8:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে জাহাজ মালিক ও তাদের প্রতিনিধিদের অতিরিক্ত মাশুল (ডেমারেজ) আদায় বন্ধে এবার নৌ পরিববহন মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা। শিপিং এজেন্টদের কাছে বারবার তাগাদা দেওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো সমাধান না আসায় তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভিন্নপথে এগুচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ মে) নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর কাছে পাঠানো চিঠিতে ডেমারেজ মওকুফের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েছেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি আবদুল সালাম।

এ ছাড়া নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাসচিব কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের আদেশ মেনে শিপিং এজেন্টদের ডেমারেজ আদায় বন্ধ করতে এবং আদায় করা অর্থ ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন বিজিএমইএ পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল। এতে বাণিজ্য সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান বিজিএমইএ পরিচালকের পক্ষে এই নোটিশ পাঠান।

করোনা পরিস্থিতিতে সময়মতো পণ্য খালাসে করতে না পারায় দেশীয় আমদানিকারকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মাশুল (ডেমারেজ) আদায় অব্যাহত রেখেছে বিদেশি জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধিরা। গত ২৯ মার্চ নৌ পরিবহন অধিদপ্তর থেকে অতিরিক্ত মাশুল মওকুফের সুপারিশ করা হয়েছে। আমদানি পণ্য খালাস নিলে সাময়িকভাবে ভাড়া শতভাগ মওকুফ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতিতের ছাড় দিতে রাজি নন স্থানীয় শিপিং এজেন্টরা। এর ফলে বিপুল অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার কথা বলছেন দেশের ব্যবসায়ী বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমই ‘র প্রথম সহসভাপতি আবদুল সালাম বলেন, ‘করোনার সংকটে সারাবিশ্বের ব্যবসায়ীরা সাফার করছেন। বাংলাদেশে শিপিং এজেন্টরা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ফেলেছে। তারা ডেমারেজ আদায় করে দেশের টাকা বিদেশে পাঠাচ্ছে। অথচ এই সংকটে তাদের দেশের ব্যবসায়ীদের পাশে থাকা উচিৎ ছিল। শুরুতে বলেছিল সরকার আদেশ দিলে মওকুফ করবে। সরকার দেওয়ার পর বলে প্রিন্সিপাল অনুমতি দিলে করবে। এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। এজন্য আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছি।’

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন