বিজ্ঞাপন

কর্মী ছাঁটাই ঠেকাতে না পেরে সরে দাঁড়ালেন আনন্দবাজার সম্পাদক!

June 2, 2020 | 2:29 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সংবাদপত্র কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকা’র সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বার্তা সম্পাদক ঈষানী দত্ত রায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ভারতের প্রভাবশালী এবিপি গ্রুপের মালিকানায় থাকা এই পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদ থেকে ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মালিকপক্ষ। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন অনির্বাণ। কিন্তু, বোর্ড অব ডিরেক্টরস তার এই বিরোধীতা আমলে না নিয়ে, কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় তিনি সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

কলকাতার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এপ্রিলে মালিকপক্ষ জানায় আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারোই এ বছর কোনো পদন্নোতি বা ইনক্রিমেন্ট হবে না। তার উপর, কস্টকাটিংয়ের নামে কর্মীদের একাংশের ১৫-৩০ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়া হয়। মে মাসের মধ্যভাগ থেকে এবিপি ৩০০ সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করে। বন্ধ ঘোষণা করে দ্য টেলিগ্রাফের উত্তর-পূর্ব এবং ঝাড়খন্ড সংস্করণ।

পাশাপাশি, আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদ থেকে অন্তত ৪০/৪৫ জনকে ছাঁটাই করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় মালিকপক্ষ। আনন্দবাজার পত্রিকার অভ্যন্তরীণ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, চলতি মাসেই তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন চাকরি হারাবেন। নিজ হাতে এতো সহকর্মীর ছাঁটাই অনুমোদন করতে পারবেন না, তাই অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২০১৬ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অভীক সরকার।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখড় এবং ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআইএম) পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের দুইটি টুইটার বার্তা অনির্বানের পদত্যাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতিষ্ঠা করছে। উভয় টুইটার বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে মেনশন করে বলা হয় – আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদককে কেন থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে?

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৫ এপ্রিল রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদফতর ভুল সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় আনন্দবাজার পত্রিকার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার জেরে, ৫০ দিনের মাথায় ২৫ মে আনন্দবাজার সম্পাদককে থানায় ডাকা হয়। কিন্তু, তিনি থানায় হাজির না হয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ হাজির হতে পারবেন না মর্মে একটি চিঠি পাঠান হেয়ার স্ট্রিট থানায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন