July 5, 2020 | 7:10 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ‘মিয়ানমারের সরকার এবং জান্তা বাহিনীর নির্যাতন ও নিপীড়নের ফলে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পার দিয়ে বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। এখন এই জনগোষ্ঠী যাতে নিরাপদে এবং স্বেচ্ছায় তাদের বসতভিটায় ফিরে যেতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টিতে চেষ্টা চলছে। যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।’
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন বা সিআরআই আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা রেসপন্স এন্ড কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
সিআরআই’র সৌভিক দাশ তমালের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করিস। এছাড়া সিআরআই‘র একাধিক সদস্য অনুষ্ঠানে আলোচকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
করোনা প্রতিরোধের রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা যায় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য অনেক আগেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেখানে ১ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তর করা সম্ভব। বর্তমান কক্সবাজারের যেসব শিবিরে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে সেখানে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। যেমন, স্থান সংকট বা ঘিঞ্জি পরিবেশ, বর্ষায় ভূমি ধস, মানবপাচার, তরুণদের বিপথে পা বাড়ানোর ঝুঁকি। এইসব ঝুঁকি কমানোর জন্য মূলত ভাসানচরে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য ছিল।’
‘কিন্তু বুঝতে হবে যে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর বা আশ্রয় শিবিরে স্থায়ীভাবে রাখা যাবে না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রোহিঙ্গারা যাতে তাদের বসতভিটায় ফিরে যেতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতই আমাদের মূল উদ্দেশ্য’, বলেন সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছি। প্রত্যাবাসন কবে হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মানবাধিকার সহায়তা চালিয়ে যাবো।’
রোহিঙ্গারা যাতে তাদের বাড়ি ফিরতে পারে, এজন্য আমরা কাজ করছি বলেও জানান ইউএনএইচসিআর এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করিস।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমও