বিজ্ঞাপন

ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৮০.১৮% এডিপি বাস্তবায়ন গত অর্থবছরে

July 15, 2020 | 1:49 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের ধাক্কা লেগেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। ফলে গত অর্থবছরে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৮০ দশমিক ১৮ শতাংশ। এতে করে গত অর্থবছরের এডিপি’র বরাদ্দের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা অব্যবহৃত থেকে গেছে। পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার পর এত কম এডিপি আর কোনো অর্থবছরে বাস্তবায়িত হয়নি। এর আগে সর্বনিম্ন ৮০ দশমিক ৬৬ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে।

বিজ্ঞাপন

এর আগের সবশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের পরিমাণ ছিল ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারের প্রেক্ষাপটে অর্থবছরের শেষ তিন মাসে প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ বছরে আরএডিপি বাস্তবায়নের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) বার্ষিক অগ্রগতি  প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এই প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন আইএমইডির সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ।

আরও পড়ুন- করোনায় এডিপিতে ধাক্কা, বাস্তবায়ন হয়নি অর্ধেক কাজও

বিজ্ঞাপন

এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, করোনার কারণে অর্থবছরের অনেকটা সময় উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। এর ফলে প্রত্যাশিত এডিপি বাস্তবায়ন হয়নি।

আইএমইডি সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে সর্বনিম্ন ৮০ দশমিক ৬৬ শতাংশ আরএডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। গত অর্থবছরে আরএডিপি বাস্তবায়নের হার ওই বছরের চেয়েও কম। গত অর্থবছর ২ লাখ ১৫ হাজার ১১৪ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়ন করা হলেও বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে কাটছাট করে তা ২ লাখ ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

এর মধ্যে সারাবছরে সবগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ব্যয় করেছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। এ হিসাবে আরএডিপি বরাদ্দ থেকে অব্যয়িত রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকার আরএডিপি বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

তবে পরিসংখ্যান বলছে, অর্থবছরের শেষ মাস অর্থাৎ জুনে করোনাভাইরাসের মধ্যেও অনেক ‍উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে কারণে শেষ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অনেকটাই এগিয়েছে। নইলে আইএমইডি’র তথ্য অনুযায়ী অর্থবছরের ১১ মাস, অর্থাৎ চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এডিপি’র বাস্তবায়ন ছিল মাত্র ৫৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১১ মাস শেষেও এডিপিতে বরাদ্দের ৮৫ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা অব্যয়িত ছিল। সে হিসাবে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন