বিজ্ঞাপন

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারিত— দাবি দুই সিটির

August 2, 2020 | 11:55 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের দাবি করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার আগেই তারা ৫৪টি ওয়ার্ডের সবগুলোতেই বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ শেষ করেছে। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানিয়েছে, তাদের ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ শেষ হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২ আগস্ট) দুপুরে দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা পৃথক পৃথক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান। এসময় তারা আরও জানান, আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির সংখ্যা বেড়েছে।

ভিডিও বার্তায় ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এম সাইদুর রহমান বলেন, ডিএনসিসি এবার পশু কোরবানির জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করেছিল। নির্ধারিত স্থানে গত বছরের তুলনায় এবার পশু কোরবানির সংখ্যা বেড়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে বিভিন্ন সুবিধা, বিশেষ করে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করায় আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এসব স্থানে কোরবানি দিতে উৎসাহিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী আগামী বছর ঈদুল আজহার আগেই গাবতলীতে একটি অত্যাধুনিক স্লটার হাউজ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জানান, ডিএনসিসি’র পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পিডব্লিউসিএসপি’র কর্মীরা পশু কোরবানির স্থান এবং বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএস ও কনটেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছে। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত্র ১০টার মধ্যেই ৩১, ২৭, ৮, ১, ১৭, ১৯, ২০, ২৮, ২৯, ৩০, ৩২, ৩৩, ০৯, ১০, ১১, ৩৯, ৪০, ৪১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোও বর্জ্যমুক্ত হয়। এসটিএস ও নির্ধারিত স্থানে কনটেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয়।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব ২ হাজার ৬৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে বর্জ্যমুক্ত করেছেন। সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজে জড়িত ছিলেন। তাদের সবাইকে ডিএনসিসি মেয়রের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিন্দন জানান তিনি।

কমডোর এম সাইদুর রহমান বলেন, এ বছর কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারকিতে দেখা গেছে, জনগণ আগের চেয়ে সচেতন ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন; বর্জ্য ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলনের ব্যবহার বেড়েছে। এছাড়া এবার একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মনিটরিং করা হয়েছে। এত সবকিছুর পরও অনেকেই ডিএনসিসি’র নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর কোরবানি করেছেন, যা অপ্রত্যাশিত ছিল। আগামীতে এমন না করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ডিএসসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন ভিডিও বার্তায় বলেন, শনিবার দুপুর ২টা থেকে রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর ৭৫টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রোববার যেসব পশু কোরবানি করা হবে, সেগুলোর বর্জ্য পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে বলে জানান ডিএসসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের ৩৩ ট্রাক বর্জ্য গ্রহণ করে তা ডিএসসিসি’র মাতুয়াইলের ল্যান্ডফিলে নিয়ে যায়। সে রাতে আমিন বাজারে প্রচণ্ড যানজট থাকায় ডিএনসিসিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বাসস।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন