বিজ্ঞাপন

লকডাউন কাজে লাগিয়ে ৫ মাসে ২০ কেজি ওজন কমানোর গল্প

August 11, 2020 | 6:29 pm

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ঋষ ঠোটা নামের এক ভারতীয় তার অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য লক ডাউনের সুযোগ কাজে লাগান। ৫ মাসে ২০ কেজি ওজন কমিয়ে ফ্যাট টু ফিটে রূপান্তরিত করেছেন নিজেকে।

বিজ্ঞাপন

ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা চল্লিশ বছর বয়সের ঋষ পেশায় একজন মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ। ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি উচ্তাচর ঋশের ওজন এক পর্যায়ে ৯০ কেজিতে পৌঁছায়। এতে তার স্ট্যামিনায় ঘাটতি দেখা দেয়, তার পক্ষে দৈনন্দিন কাজগুলো ঠিকমত করা সম্ভব হচ্ছিল না। ৭ বছরের ছেলের সঙ্গে খেলাধুলা করার মত শক্তিও তিনি পেতেন না। দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে তলপেটে অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বি জমতে শুরু করেছিলো। করোনা পূর্ববর্তী জীবনে তিনি সেভাবে সুযোগ খুঁজে পাচ্ছিলেন না ওজন কমানোর। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভারতজুড়ে চলা লক ডাউনকে তিনি ওজন কমানোর সুযোগ হিসেবে নেন। একটি পরিকল্পনা ঠিক করে শুরু করেন নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া ও ব্যায়াম। ভারতীয় এক দৈনিকে প্রচারিত ঋষের এই ওজন কমানোর পদ্ধতিটা কেমন ছিল জেনে নেই চলুন।

সকালের খাবার: মাসালা ওমলেট, গমের লাল আটার তৈরি রুটি অথবা মিলেট বা বাজরার দোসা

দুপরের খাবার: আধা কাপ (একটি স্মল পোরশন) লাল চালের ভাত ও এক বাটি তরকারি

বিজ্ঞাপন

ডিনার: ২ টি চাপাটি ও এক বাটি তরকারি

ব্যায়ামের আগের খাবার (প্রি ওয়ার্ক আউট মিল): এক কাপ ব্ল্যাক কফি

ব্যায়ামের পরের খাবার (পোস্ট ওয়ার্ক আউট মিল): দুটি ডিমের ওমলেট ও এক কাপ গ্রিন টি

বিজ্ঞাপন

চিট মিল: চিট মিলের দিনে আধা কাপ সাদা ভাত খেতেন যাতে তরকারির স্বাদ ঠিকমত পান

কতটুকু ব্যায়াম করতেন: প্রতিদিন ৫ কিলোমিটার হাঁটা ও এক ঘন্টা ব্যায়াম করতেন

প্রতিদিনের এই রুটিনে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন অল্প ক্যালরিসম্পন্ন খাবার খেতে। যেসব অল্প ক্যালরির খাবার খেতেন তা হল রাগির তৈরি দোসা, ওটসের ইডলি, লাল চালের পোহা (চিড়া) ইত্যাদি। এছাড়া খাদ্যতালিকা থেকে অ্যালকোহল, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার ও চিনি বাদ দেন পুরোপুরি।

অল্প খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তিনি ১৪ ঘন্টার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (উপবাস) করতেন মাঝেমধ্যেই। রাত আটটা থেকে পরদিন সকাল দশটা পর্যন্ত এই ফাস্টিং অভ্যাস করতেন। সকাল দশটায় সকালের খাবার, দেড়টায় দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার খেতেন সাড়ে ছয়টায়। উপবাসকালে তিনি রাত দশটায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ ব্ল্যাক কফি আর ঘুম থেকে উঠে সকাল আটটায় এক কাপ গ্রিন টি পান করতেন।

বিজ্ঞাপন

ওজন কমানো ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন সোজা নয়। সহজেই হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এই পাঁচ মাসে সব ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা কী একবারও জাগেনি? ঋষ বলেন, এত কষ্ট করার পরও শুরুর দিকে ওজন কমছিল না। তখন সব ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। মনে হচ্ছিল, সব প্রিয় খাবার ছেড়ে দিয়ে লাভ কি হচ্ছে? কিন্তু ঋষকে এই পুরো সময়টায় উৎসাহ দিয়ে গেছেন তার স্ত্রী ও সাত বছরের ছেলে। শারীরিক একটু পরিবর্তন হলেও তারা প্রশংসা করতেন। তাছাড়া তার কিছু বন্ধুও একইসঙ্গে ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করেন। তারা পরস্পরের সঙ্গে নিজেদের অবস্থা শেয়ারে মাধ্যমে একে অন্যকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

ওজন কমানোর প্রক্রিয়া তো শেষ। আগামী দশ বছর একদম টানটান শরীর ও নির্মেদ পেট তার লক্ষ্য। এই পুরো প্রক্রিয়ায় তিনি যা শিখেছেন তা হলে, পুরোটাই আসলে মনের উপর নির্ভর করে। নিজেকে মানাতে পারলে সবই সম্ভব।

সারাবাংলা/আরএফ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন