বিজ্ঞাপন

‘নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই ত্রিপুরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণে সহায়তা’

September 19, 2020 | 8:08 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিজেদের সক্ষমতা শতভাগ নিশ্চিত করে তবেই ত্রিপুরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে ভারতকে সহায়তা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এমন দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু আমাদের প্রথমে নিজেদের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক করতে হবে। আমাদের নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। এরপরই আমরা ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির দিকে যেতে পারব। নয়তো ভালোর চেয়ে খারাপ হবে।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সারাবাংলা ডনেট আয়োজিত ‘সারাবাংলা ফোকাস’ অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। নিয়মিত এই আয়োজনের এ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল ‘ঢাকা-নয়া দিল্লি এয়ার বাবল’। সারাবাংলা ডটনেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এম এ কে জিলানীর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম ইকবাল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন।

আরও পড়ুন- ‘এয়ার বাবল চুক্তিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা থাকতে হবে’

বিজ্ঞাপন

গত বছরের আগস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভারত সহযোগিতা চেয়েছে। মূলত ত্রিপুরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাইটের কমপ্লিট ফেজ পূরণ করতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অংশে কিছু লাইট বসাতে চায় ভারত। এ নিয়ে একটি অনুরোধপত্র দেয় ভারত। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছে বেবিচক।

সারাবাংলা ফোকাসে অংশ নিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করার জন্য বাংলাদেশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে ভারত। এটি এমন একটি চুক্তি, যা দুই দেশের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। এটি নিয়ে আলোচনা চলছে, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব চুক্তি করতে গেলে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ভালো হতে হয়। আমাদের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ক্যাপাবল না। সেজন্য নতুন করে আমরা রাডার সিস্টেম করতে যাচ্ছি। এটা হলে সীমান্তবর্তী ও সমুদ্র সীমার মধ্যে যত বিমান আসবে, সেগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। আর ওই ক্যাপাবিলিটিতে গেলে আমাদের পক্ষে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সহজ হবে।’

বিজ্ঞাপন

সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মা‍শা‍র্ল এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিন দিকে ভারত। বর্ডার এলাকাগুলোতে যে রানওয়ে আছে সেগুলো উন্নয়ন করা দরকার। এছাড়া ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হলে আমাদের জন্য ভালো। আমাদের অনেক যাত্রী স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত করে। তাই এই পথের যোগাযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী রানওয়েগুলোর উন্নয়ন করতে হবে। এতে করে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আরও ভালো হবে।’

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হাসান বলেন, ‘আমাদের ভারত বাংলাদেশ বর্ডারের যে অবস্থা, ১৯৬৫ সালের পরে আর পরিবর্তন করা হয়নি। আমরা এরপর থেকে পিছিয়েছি, কোনো উন্নতি হয়নি। ইউরোপ পেরেছে, কারণ তারা এগিয়েছে। তাই বর্ডার নিয়ে বাড়াবাড়ি শেষ করার চেষ্টা করা উচিত। আমাদের বন্ধুত্বটা সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত যেখানে আগরতলা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।’

অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, সরকার দেশের বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নে কাজ করছে। এরই মধ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে পরিণত করতে কাজ চলছে। অন্য বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতাও বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন